বিপুল নগদ অর্থ উদ্ধার
আগে ছিলেন গবেষণাগারের সহকারী। বছরখানেক আগেই ‘জুনিয়র সায়েন্টিস্ট’ পদে উন্নীত হয়েছেন। বেতনও সামান্যই। কিন্তু তাঁর সম্পত্তির বহর দেখে স্তম্ভিত তদন্তকারী আধিকারিকেরা। পেল্লায় বাংলো। বাড়িতে চারটি চারচাকার গাড়ি। সাত জায়গায় জমিবাড়ি। বৈভবের কিছুই প্রায় বাদ নেই।
রবিবার সকালে মধ্যপ্রদেশের সতনায় সুশীলকুমার মিশ্র নামে এক জুনিয়র সায়েন্টিস্টের বাড়িতে আচমকা হানা দিয়ে থরে থরে নোটের বান্ডিল উদ্ধার করলেন ওই রাজ্যের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকেরা। ওই বিজ্ঞানীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩০ লক্ষ নগদ টাকা। সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকার সোনা-গয়না। তদন্তকারীরা জানান, জুনিয়র সায়েন্টিস্ট হয়েও তিনি কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন, এ নিয়ে সুশীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে সম্প্রতি। এর পরেই একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতেই আদালতের নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই বিজ্ঞানী বর্তমানে রাজ্য পরিবেশ দূষণ পর্ষদে কর্মরত। আগে ছিলেন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট। তাঁর কী করে এত সম্পত্তি হল, ভেবেই পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। আপাতত তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তাঁরা। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘বিজ্ঞানীর বাড়ি যা যা উদ্ধার হয়েছে, সব বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর জমিজমার কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম মিলিয়ে অনেক একর জমি রয়েছে তাঁর। সেই সবেরই নথি মিলেছে। বাড়িতে সাতটি গাড়ি। তার মধ্যে চারটি চারচাকার। রয়েছে এসইউভি, স্করপিও ও ইন্ডিগো। কোথা থেকে এত সম্পত্তি এল, তা তদন্ত করে দেখছি আমরা। বিজ্ঞানীর বার্ষিক বেতন ৫০ লাখের উপরে নয়। অন্যান্য যে সব জায়গায় তাঁর বাড়ি রয়েছে, সেখানেও আমরা অভিযান চালাব। আমাদের অনুমান, আরও অনেক কিছু উদ্ধার হবে।’’