মোষ পাচারের অভিযোগে ২৪ বছরের নৌশাদ মহম্মদকে নগ্ন করে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠল হরিয়ানার রোহতকে। উদ্ধার করার পরে পুলিশও তাঁর উপরে অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ। যুবককে থানায় নিয়ে গিয়ে খাবার, জল ছাড়া চেন দিয়ে প্রায় ১৬ ঘণ্টা বেঁধে রাখা হয়। গরু চোর সন্দেহে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চলছেই। গণপিটুনিতে প্রাণও গিয়েছে। চলতি মাসেই বিহারে গরু চোর সন্দেহে এক প্রৌঢ়কে পিটিয়ে মারে জনতা।
রোহতকে কী ঘটেছিল? উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা নৌশাদের অভিযোগ, শনিবার চাষের কাজের জন্য মোষ কিনতে রোহতকে গিয়েছিলেন তিনি। বিকেলে তিনটি মোষ কিনে ফেরার সময়ে রোহতকের কাছে একটি গ্রামে তাঁদের ট্রাক আটকায় প্রায় ২০০ জনের ভিড়। টেনে রাস্তায় নামানো হয় নৌশাদকে। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা আমায় নগ্ন করে সিগারেট দিয়ে ঠোঁট ও কানে ছেঁকা দেয়। এর পর আমায় একটা পিলারে বেঁধে মারধর শুরু করে।’’ ওই যুবকের দাবি, ‘‘লাঠি দিয়ে আমায় পেটানোর সময়ে কেউ কেউ পাথর দিয়েও মারে। সেই সঙ্গে লাথি-ঘুষি। আমার হাজার দু’য়েক টাকাও কেড়ে নেয় ওরা।’’
ঘটনার একটি ভিডিয়ো ফুটেজ ছড়িয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, পিলারে আটকে মারা হচ্ছে নৌশাদকে। এক জন আবার তাঁর সঙ্গে নিজস্বীও তোলে। যশপাল গুম্মামা নামে ওই ব্যক্তিই হামলায় মূল অভিযুক্ত। এই ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
প্রায় দু’ঘণ্টা পরে নৌশাদকে উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের সামনেও চলতে থাকে চড়-থাপ্পড়। থানায় পৌঁছেও রেহাই পাননি নৌশাদ। অভিযোগ, তাঁকে খাটের সঙ্গে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। গুরুতর আহত নৌশাদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়নি। প্রায় ১৬ ঘণ্টা বাদে এক কাপ চা দেওয়া হয় তাঁকে। এর পরে বেশ কয়েক জন সমাজকর্মী থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোয় রবিবার দুপুরে তাঁকে চেনমুক্ত করা হয়। সোমবার ছাড়া হয় তাঁকে। তবে নৌশাদ-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।