বাঁ দিক থেকে চিরাগ পাসোয়ান, রামবিলাস পাসোয়ান, অমিত শাহ্, নীতীশ কুমার এবং বিজেপি সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দর যাদব। এএনআই-এর টুইটার থেকে নেওয়া ছবি
তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল কি তাড়া করছে বিজেপিকে? বিহারে নীতীশ কুমার এবং রামবিলাস পাসোয়ানের সঙ্গে জোট এবং আসন বণ্টনের ঘোষণায় সেই ইঙ্গিতই পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ৪০টির মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ২২টি আসন। আর এনডিএ-র জোট সঙ্গী লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) ঝুলিতে গিয়েছিল ছ’টি আসনে। নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) একা লড়ে পেয়েছিল মাত্র দু’টি আসন। রবিবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ঘোষণা করলেন, পাসোয়ানের সঙ্গে এবার এনডিএ-তে যোগ দিচ্ছে জেডিইউ। যে নীতীশের দল আগের বার মাত্র দু’টি আসন পেয়েছিল, তাকেই এবার ১৭টি আসন ছাড়ল বিজেপি। অর্থাৎ জেতা আসন থেকেও পাঁচটি ছেড়ে দিল পদ্ম শিবির। অন্যদিকে এবারও ছ’টি আসনেই প্রার্থী দেবে এলজেপি।
ডান দিকে রামবিলাস পাসোয়ান এবং তাঁর ছেলে চিরাগ পাসোয়ান। আর বাঁ দিকে নীতীশ কুমার। এভাবেই বিহারের দুই শরিককে নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ঘোষণা করলেন লোকসভা ভোটে বিহারে আসন বণ্টনের ফর্মুলা। বিজেপি এবং নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) ১৭টি করে আসনে লড়বে। আর রামবিলাসের লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি) লড়াই করবে ছ’টি আসনে।
আরও পডু়ন: উপরে সড়কপথ, নীচে রেল! উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের দীর্ঘতম দোতলা ব্রিজ
সদ্যই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ় বিধানসভা নির্বাচনে তিন রাজ্যেই ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, জোট ধরে রাখার বাধ্যবাধকতা থেকেই তড়িঘড়ি জোট ঘোষণা এবং আসন বণ্টনের সমীকরণ ঘোষণা করলেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘‘ভোটযুদ্ধে তিন দল একসঙ্গে মিলে লড়বে। তিন দলের নেতারা একসঙ্গে বসে প্রচার-সহ ভোটের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং লক্ষ্য ঠিক করবেন। তার পর বিহারবাসীর কাছে সেটা তুলে ধরা হবে।’’
আরও পড়ুন: ৬ হাজার থেকে ২০ লক্ষ, কোথা থেকে টাকা পড়ছে অ্যাকাউন্টে! ভ্যাবাচ্যাকা খাচ্ছে হাওড়ার গ্রাম
অন্যদিকে নীতীশ কুমারও বলেন, ‘‘২০১৯-এ ফের যাতে কেন্দ্রে এনডিএ সরকার গড়তে পারে, তার জন্য কী কী করতে হবে, তিন দলের নেতারা বসে সেসব ঠিক করবেন। আমরা বিহারের উন্নয়নের প্রতি দায়বদ্ধ।’’
২০১৪-র লোকসভা ভোটে বিজেপি তথা মোদী ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছিল অন্যান্য দলগুলি। ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি একাই পায় ২২টি আসন। অন্যদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পায় এলজেপি ছ’টি। তারপর লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দল পায় চারটি আসন। কংগ্রেস এবং জেডিইউ— উভয়ের ঝুলিতেই ছিল দু’টি করে আসন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি তিনটি এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি একটি আসন পায়।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)