নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর। ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে বিরোধীরা দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গকে অতি স্পর্শকাতর রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করতে হবে কমিশনকে। এই পরিস্থিতিতেই আইনশৃঙ্খলা এবং ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শনিবার দিল্লি থেকে রাজ্যে আসছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে। বিরোধীরা একযোগে হিংসার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কমিশনকে। কমিশনের সি-ভিজিল অ্যাপেও অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সেই প্রেক্ষিতে উপ নির্বাচন কমিশনারের রাজ্য সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্রের খবর ওই দিন তিনি প্রথমে শাসক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। তার আগে বৃহস্পতিবার ১৫ মার্চ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার পুলিশ সুপার, জেলা শাসকদের সঙ্গে কমিশনের একটি বৈঠক হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কমিশনের একটা সূত্র জানাচ্ছে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা এবং জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলবেন সুদীপ। শনিবার তাঁর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে বলে ওই সূত্রটির দাবি। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠক শেষে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে যাবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের সব বুথকে ‘সুপার সেনসিটিভ’ ঘোষণার দাবি বিজেপির, মমতা বললেন, বাংলার অপমান
কমিশন সূত্রে খবর, শুক্রবারই রাজ্যে পৌঁছে যাচ্ছে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটারদের মনোবল বাড়াতে এবং এলাকার নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে (এরিয়া ডমিনেসন) শনিবার থেকেই শুরু হবে রুট মার্চ। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানে ওই বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
এ দিন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই সি ভিজিল অ্যাপে ১৮৩ অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রথম দফায় ভোটের জন্যে ফের ইভিএম, ভিভিপ্যাট পরীক্ষা করা হবে।