Lok Sabha Election 2019

ফের এনডিএ নাকি ইউপিএর প্রত্যাবর্তন? বিকল্পের সম্ভাবনা কতটা— কে কোন দিকে ঝুঁকে

ইউপিএ জোট শুরু হয় ২০০৪ সালে। তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে ওই বছর লোকসভা ভোটের আগেই অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এই জোট।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৯ ১৮:৫২
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাত দফার লোকসভা নির্বাচন শেষ। এ বার ফল ঘোষণার দিকে নজর সবার। তার আগে যদিও বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে জোর চর্চা চলবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে এখনই শুরু হয়ে গিয়েছে বুথফেরত সমীক্ষা ভোট পরবর্তী সমীকরণের চর্চা। তবে দৌড়ে মূলত তিনটি গোষ্ঠী বা জোট। প্রথমত, বিজেপির নেতৃত্বে ফের এনডিএ সরকার, দ্বিতীয়ত পুনরুত্থান হতে পারে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোটের। আঞ্চলিক দলগুলির ফেডারেল ফ্রন্টের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না পর্যবেক্ষকদের অনেকে।

Advertisement

শেষ পর্যন্ত কে কোন জোটে যাবে, কোন দল সরকার গড়বে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে ভোটের ফলাফলের উপর। কিন্তু আপাতত কে কোন জোটে রয়েছে তার মোটামুটি একটা চিত্র পরিষ্কার। ভোটের আগে থেকেই অনেকের জোট এবং আসন সমঝোতা হয়েছে, কেউ আবার বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করেছেন। আঞ্চলিক দলগুলির অনেকে আবার ভোটের পর জোটের প্রতিশ্রুতিতে নিজেদের রাজ্যে আলাদা করে লড়েছেন।

অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রবক্তা এনডিএ-র। ১৯৯৬ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আহ্বানে গড়ে উঠেছিল এই জোট। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রিত্বে এই জোটের সরকার ছিল। তার পর ২০১৪ সালে অর্থাৎ গত লোকসভা ভোটে ফের সরকার গঠন করে এই জোট। তবে গত পাঁচ বছরে অন্যতম বড় শরিক অন্ধ্রপ্রদেশে তেলুগু দেশম পার্টি জোট ছেড়েছে। বর্তমানে এই জোটের শরিক মহারাষ্ট্রের শিবসেনা, তামিলনাড়ুর এডিএমকে, বিহার-ঝাড়খণ্ডে নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টির পাশাপাশি পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দলও রয়েছে।

Advertisement

অন্য দিকে ইউপিএ জোট শুরু হয় ২০০৪ সালে। তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে ওই বছর লোকসভা ভোটের আগেই অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এই জোট। সেই জোটের নেতৃত্বেই পর পর দু’বার ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে সরকার গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিংহ। বর্তমানে এই জোটে রয়েছে মহারাষ্ট্রে শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে, বিহার-ঝাড়খণ্ডে লালুপ্রসাদ যাদবের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরজেডি), কর্নাটকের জনতা দল সেকুলার এবং জম্মু কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লার নেতৃত্বে ন্যাশনাল কনফারেন্স। কর্নাটকে এই জোটের সরকার রয়েছে। পাশাপাশি কয়েক মাস আগেই মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে বহুজন সমাজ পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টি। ফলে ভোটের ফল ঘোষণার পর আরও কয়েকটি দল তাঁদের জোটে শামিল হবেন বলে আশা এই জোটের নেতৃত্বের।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

আরও পড়ুন: বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে দিনভর অত্যাচার চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী: মমতা

আরও পডু়ন: প্রথমে রাহুল, পরে ইয়েচুরি-পওয়ার, পরপর বৈঠকে চন্দ্রবাবু, দিল্লিতে বিরোধী তৎপরতা তুঙ্গে

ভোটের আগে থেকেই ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের তোড়জোড় চলছে। মূল উদ্যোক্তা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নায়ডু। যিনি আবার আগের লোকসভা ভোটেই এনডিএর সঙ্গে ছিলেন। এই জোটে সঙ্গে থাকার কথা বলেছে উত্তরপ্রদেশের বিএসপি, এসপি এবং আরএলডি, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির মতো রাজনৈতিক শক্তি। তবে অবস্থান স্পষ্ট নয় ওড়িশার বিজু জনতা দল, অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি এবং তেলঙ্গানায় টিআরএস। তবে এই দলগুলিও সরকার গঠনে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ভোটের ফল কী হবে, সেটা জানা যাবে ২৩ মে, বৃহস্পতিবার। ফল ঘোষণার পর এবং সরকার গঠনের আগে পর্যন্ত যে আরও অনেক সমীকরণ রদবদল হবে, তা এখনই বলে দিচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের সিংহভাগ অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement