প্রতীকী ছবি।
ভোটের মধ্যেও বেকারত্ব নিয়ে বিড়ম্বনা পিছু ছাড়ছে না নরেন্দ্র মোদী সরকারের। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই)-র রিপোর্ট জানিয়েছে, এপ্রিলের প্রথম তিন সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৭.৯%, ৮.১% এবং ৮.৪%। এর আগে তাদেরই রিপোর্ট বলেছিল, ফেব্রুয়ারিতে ওই হার ছুঁয়েছে ৭.২%। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের পরে সব থেকে বেশি। আর মার্চে ৬.৭%।
বছরে দু’কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মসনদে এসেছিলেন মোদী। কিন্তু তাঁর পাঁচ বছরে দেশে কাজের ছবিটা যে মোটেই উজ্জ্বল নয়, তা বারবার উঠে এসেছে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে। কর্মসংস্থান নিয়েই ২০১৭-১৮ সালের জন্য এনএসএসও-র সমীক্ষা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। যেখানে বলা হয়, ২০১৭-’১৮ সালে বেকারত্ব ছিল ৬.১%। ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। যা নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে মোদী সরকার। ঘটনা হল, চলতি লোকসভা ভোটে নিজেদের ৪২ পাতার ইস্তাহারে কর্মসংস্থান নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করেনি বিজেপি। দেয়নি নতুন কোনও প্রতিশ্রুতিও।
তবে মোদী সরকারকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে সিএমআইই-র রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, বেকারত্ব যেমন বেড়েছে, তেমনই এপ্রিলের প্রথম তিন সপ্তাহে কর্মসংস্থানও হয়েছে মার্চের চেয়ে বেশি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
যদিও তার বেশির ভাগটাই এসেছে ভোটের সঙ্গে যুক্ত নানা কাজের হাত ধরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোট মিটে গেলে ছবিটা কী দাঁড়ায়, সেটাই এখন দেখার।