গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শুরু হয়েছিল ১১ এপ্রিল। তার পরই একে একে সাত দফা। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলার পর আজই শেষ হওয়ার পথে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্যায়ের ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশনের সূচি অনুযায়ী আজ সন্ধে ছ’টায় শেষ হচ্ছে ভোটগ্রহণ।
কিন্তু কার দখলে যাচ্ছে দিল্লি? ফের কি রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঘাঁটি গাড়বেন নরেন্দ্র মোদী? নাকি সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলঘোষণার পর সাত রেসকোর্স রোডে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির দখল নেবেন রাহুল গাঁধী? নাকি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির তরফে অন্য কেউ বসবেন প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে? নিশ্চিত ভাবে সেই উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ২৩ মে। কিন্তু তার আগেই একটা আঁচ পাওয়া যাবে আজকেই, বুথফেরত সমীক্ষায়, যা অনেক সময়ই সঠিক পূর্বাভাস দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে।
সারা পৃথিবীতেই এখন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে কী ভাবে আরও নির্ভুল করা যায় বুথফেরত সমীক্ষাকে। ব্যতিক্রম নয় ভারতও। মনে রাখতে হবে, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে ভোটগণনার আগেই একটি সমীক্ষার কথা, যে সমীক্ষা ভোটের ফলাফলের সঙ্গে প্রায় মিলে গিয়েছিল। ‘টুডে’জ চানক্য’ সমীক্ষায় বলা হয়েছিল এনডিএ পেতে চলেছে প্রায় ৩৪০টি আসন। পাশাপাশি বলা হয়েছিল বিজেপি পেতে চলেছে ২৯১ আসন। পরে দেখা গিয়েছিল, এই ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে আসল ফলাফলের কোনও ফারাক নেই। ‘টুডে’জ চানক্য’ ফল মিলিয়ে দিলেও অনেকেই আবার আসল ফলাফলের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি।
আরও পড়ুন: আজও ভোটবিধি ভঙ্গ করছেন প্রধানমন্ত্রী, অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন, কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনেও আজকের পরই জানা যাবে কার দখলে যাচ্ছে দিল্লি, তার ইঙ্গিত। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পাবে বুথফেরত সমীক্ষার ফলাফল। এই লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন সমীক্ষা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে সংবাদ মাধ্যম। তাঁর মধ্যে অন্যতম এবিপি-সিএসডিএস বুথফেরত সমীক্ষা। এ ছাড়া ফলাফল জানা যাবে নিউজ ১৮- আইপিএসওএস, ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস, টাইমস নাও-সিএনএক্স, নিউজ এক্স-নেতা, রিপাবলিক-জন কি বাত, রিপাবলিক-সিভোটার, এবিপি-সিএসডিএস এবং টুডে’জ চাণক্য-র করা বুথফেরত সমীক্ষা থেকেও।
আরও পড়ুন: বুথফেরত সমীক্ষা আদৌ কী? কবে শুরু হয়েছিল এটি?
বুথফেরত সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে যায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণের পরই। ভোট দিয়ে বেরনোর পর যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই কী ফলাফল হতে চলেছে তার একটা আন্দাজ পাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সবকটি দফার ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়না। কারণ, তা প্রভাবিত করতে পারে, যেখানে ভোট তখনও হয়নি, সেখানকার ভোটারদের।
আরও পড়ুন: কমিশনের ‘ভূমিকা’ ও ইভিএম নিয়ে কথা রাহুল-মমতার
এই কারণেই বুথফেরত সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গেলেও তা নিজেদের কাছেই রাখে সংবাদ মাধ্যমগুলি। এই নির্বাচনেও বুথফেরত সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে যায় ১১ এপ্রিল থেকেই। কিন্তু তা সামনে আসবে আজকেই, সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরই। কারণ, ১৯ মে-র আগে বুথফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারবে না কোনও টেলিভিশন, রেডিয়ো, কেবল নেটওয়ার্ক, ওয়েবসাইট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া, এমনটাই নির্দেশ ছিল নির্বাচন কমিশনের।
তাই ২৩ মে আসল ফলাফল কী হচ্ছে তা জানা গেলেও, দেশবাসীর মন বুঝতে আপাতত ভরসা বুথফেরত সমীক্ষাতেই। আজ সন্ধে সাড়ে ৬টা থেকেই সামনে আসবে দিল্লির তখ্ত কার কাছে যাচ্ছে তার ইঙ্গিত। আর এবিপি-সিএসডিএস ছাড়াও বাকি সব ক’টি সমীক্ষার ফল জানতে নজর রাখুন এখানেই।