—ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনী-চিত্র ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’-র মুক্তি আটকাতে আজ কোনও নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। ছবিটির মুক্তি স্থগিতের জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের এক নেতা। আদালতের মতে, ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’ ছবিটি এখনও সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়নি। এই অবস্থায় কোনও নির্দেশ দেওয়া যায় না।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামিকাল বিষয়টির শুনানি হবে। ছবিতে অত্যন্ত আপত্তিকর কিছু রয়েছে, তা যদি আবেদনকারী প্রমাণ করতে পারেন, তা হলে কোনও নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। ভোটের মুখে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’র মুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে বিরোধীরা প্রথম থেকেই সরব। তাদের অভিযোগ, ভোটের মরসুমে ওই ছবি মুক্তি পেলে বিজেপি বাড়তি সুবিধা পাবে। ছবিটির মুক্তি আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস নেতা আমন পানওয়ার। তিনি আজ আদালতে আর্জি জানান, তাঁকে যেন প্রধানমন্ত্রীর বায়োপিকের একটি কপি দেওয়া হয়। তা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘‘ছবির কপি কোনও এক ব্যক্তিকে দেওয়ার জন্য কেন নির্দেশ দেব!’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আবেদনকারীর আইনজীবী কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে যুক্তি দেন, ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’র প্রযোজক সন্দীপ সিংহ জানিয়েছেন, আগামী ১১ এপ্রিল ছবিটি মুক্তি পাবে। তার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, প্রযোজক হয়তো আশা করছেন, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র তিনি পেয়ে যাবেন। সিঙ্ঘভির যুক্তি, ছবিটিকে মুক্তির অনুমতি দিলে তা সংবিধানের কাঠামোকে আঘাত করবে। আদালত বলেছে, ‘‘যে ছবি এখনও সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়নি, তার মুক্তি আটকানোর নির্দেশ আমরা কী ভাবে দেব?’’