ছবি: এএফপি।
পাঁচ বছর আগে ঠিক আজকের দিনেই জিতে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে ফলাও করে জানালেনও সে কথা। আগামিকাল শেষ হচ্ছে এ বারের লোকসভা ভোটের প্রচার। শেষ দিনটা কী করবেন প্রধানমন্ত্রী? রাত পর্যন্ত উত্তর মিলল না।
সাত দফার লোকসভা ভোটের প্রচার শেষ হয়ে যাবে কাল বিকাল পাঁচটায়। রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, কাল মধ্যপ্রদেশের খরগোনে একটিই সভা করবেন মোদী। সেটিও সক্কাল-সক্কাল। তার পর সারাদিন? জবাব এসেছে একটাই, ‘‘অপেক্ষা করুন, জানতে পারবেন।’’
কী সেই রহস্য? মনোনয়ন পেশের সময় বারাণসীতে মোদী বলে এসেছিলেন, আর যদি আসতে না পারেন, তা হলে যেন দলের কর্মীরা সামলে দেন। তা হলে কি নিজের কেন্দ্রে আর প্রচারে যাবেনই না প্রধানমন্ত্রী? নাকি যাবেন?
অন্য একটি সূত্র থেকে অবশ্য ইঙ্গিত, আগামিকাল প্রচার শেষ হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদী যেতে পারেন আধ্যাত্মিক জগতে। পরশু তিনি যেতে পারেন কেদারনাথ ও বদ্রীনাথে। দু’দিনের কর্মসূচি হতে পারে। এমনকি ভোটের দিনও সেখানে কাটাতে পারেন তিনি। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ বলছেন, কেদারনাথের কোনও গুহায় ধ্যানেও বসতে পারেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপির একটি সূত্র আগেই জানিয়েছিল, ভোট প্রচারের শেষেও প্রধানমন্ত্রী যাতে প্রচারের আলোয় থাকতে পারেন, তার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। রাজধানীতে জোর জল্পনা, আগামী তিন দিন কোনও ‘গোপন’ চমকের প্রস্তুতি নিচ্ছে গোটা প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়। হতে পারে তিনি কোনও ভিডিয়ো বার্তা দেবেন কিংবা কোনও ‘সাড়া’ জাগানো সাক্ষাৎকার।
তবে মোদী কাল নিজের কেন্দ্রে যান বা না যান, তাঁর সেনাপতি অমিত শাহ দু’দিন ধরে সেখানে ঘাঁটি গেড়ে আছেন। বারাণসীতে থেকেই তিনি উত্তরপ্রদেশের পূর্ব প্রান্তে প্রচার সারছেন। কাল দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তিনি।
প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি বারাণসী নিয়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী মোদী, যে আরও একবার প্রচারের প্রয়োজন নেই? ক’দিন আগেই তিনি বারাণসীর কর্মীদের জন্য একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছিলেন। অতীতে গুজরাতে নিজের কেন্দ্রে শুধু মনোনয়নের সময়েই একবার প্রচার করে বেরিয়ে যেতেন মোদী। এমনকি লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো নেতাও গাঁধীনগরের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নের দিন একটি রোড-শো করে দিল্লি ফিরে আসতেন।
আজ জয়ের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পরে মোদী টুইটে লেখেন, ‘‘পাঁচ বছর আগে আজ একটি স্মরণীয় দিন ছিল। ১৩০ কোটি ভারতীয়র আশীর্বাদ নিয়ে আমরা তাঁদের প্রত্যাশা পূর্ণ করা এবং শক্তিশালী, নিরাপদ, উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করেছি। তাঁদের স্বপ্ন পূরণ ও মানুষের সেবা করার কাজই করে যাব।’’