পটনায় এলেন বিজেপির ‘শত্রু’

রণংদেহী মূর্তিতেই নির্বাচন শুরু করতে চাইছেন বলিউডি অভিনেতা। গত ৬ এপ্রিল দিল্লিতে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

পটনা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

চোখে রোদ চশমা। প্রচণ্ড গরমেও পড়নে ছাই রঙের ফুলহাতা শার্ট আর গাঢ় নীল রঙের জ্যাকেট। গলায় ঝুলছে ‘কুল’ গামছা! পটনায় এলেন বিজেপির ‘শত্রু’, কংগ্রেসের ‘শত্রুঘ্ন’। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মদনমোহন ঝা-সহ দলের এক ঝাঁক নেতা। ছিলেন আরজেডি এবং কংগ্রেসের কয়েকশো’ কর্মীও। গেট থেকে বেরোতেই হুড়োহুড়ি। কেউ ছবি তুলতে চান, কেউ বা সেলফি। বিহারীবাবু সে সবে তোয়াক্কা না করে সাংবাদিকদের দিকে এগিয়ে এলেন। বললেন ‘‘জুমলার (মিথ্যাচারের) পোল খুলতে এসেছি। প্রতিটি জুমলার পোল খুলে তবেই ছাড়ব।’’

Advertisement

রণংদেহী মূর্তিতেই নির্বাচন শুরু করতে চাইছেন বলিউডি অভিনেতা। গত ৬ এপ্রিল দিল্লিতে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিনি। পর পর দু’বার পটনা সাহিব কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ হিসেবে রেকর্ড ভোটে জিতেছিলেন তিনি। সেই তিনিই গত কয়েক বছর ধরে মোদী-শাহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, যতটা সম্মান নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে আশা করেছিলেন বিহারীবাবু, ততটা পাননি। সেই ক্ষোভ থেকেই তিরিশ বছরের দল ছেড়েছেন তিনি।

পটনা বিমানবন্দরে থেকে কালো কাঁচ ঢাকা গাড়িতে চেপে সোজা সদাকত আশ্রম, বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের দফতর। একানে আগে কখনও আসেননি শত্রুঘ্ন। দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমার জন্য সব দিক থেকেই ঠিক দল। আমি মহাজোটের প্রার্থী। আর লালুপ্রসাদ এবং তেজস্বীর সম্মতিতেই তো কংগ্রেসে এসেছি।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এর আগে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে ৯ এপ্রিল গয়াতে এলেও পটনায় আসেননি পটনা সাহিবের কংগ্রেস প্রার্থী। এ দিন নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী তথা কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত লড়াই নেই আমাদের। মতাদর্শের লড়াই। কিন্তু উনি বলেছেন আমি পটনার গলির ছেলে। আমি কী, তা পটনার মানুষ জানেন!’’ তারকা মেয়ে সোনাক্ষী কি বাবার হয়ে নির্বাচনী প্রচার করবেন? এ দিন শত্রুঘ্ন বলেন, ‘‘ও তো অরাজনৈতিক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement