Lok Sabha ELection 2019

বিজেপিতে এখন ‘ওয়ান ম্যান শো’, ‘টু-ম্যান আর্মি’, কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তোপ শত্রুঘ্ন সিন্হা‌র

কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরও শত্রুঘ্নর নিশানা ছিল মোদী-শাহ জুটিকে লক্ষ্য করেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:১৮
Share:

দিল্লিতে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর শত্রুঘ্ন সিনহা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

দল ছাড়ার জন্য বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসকেই বেছে নিলেন বিহারের পটনা সাহিবের সাংসদ এবং অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিন্‌হা। নয়াদিল্লিতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের জাতীয় সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এবং দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার উপস্থিতিতে বিজেপি ছেড়ে তিনি যোগ দিলেন কংগ্রেসে। আর তার পরই তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটির বিরুদ্ধে। কংগ্রেসে যোগ দিয়েই ‘বিহারিবাবু’-র কটাক্ষ, বিজেপি এখন হয়ে গিয়েছে, ‘ওয়ান ম্যান শো’ এবং ‘টু-ম্যান আর্মি’।

Advertisement

বরাবর লালকৃষ্ণ আডবাণী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই বিজেপি সাংসদকে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছিল রাজনৈতিক জল্পনা। মোদী-অমিত শাহ জুটির বিরুদ্ধে বরাবরই সরব ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে দল থেকে বের করেনি বিজেপি। তাই দলের মধ্যে থেকেই জারি ছিল তাঁর বিরোধিতা। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী না করায় বিরোধ চরমে ওঠে। তখনই পাওয়া গিয়েছিল দলত্যাগের ইঙ্গিত। শেষ পর্যন্ত দল ছাড়ার জন্য বিজেপির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবসকেই বেছে নিলেন তিনি।

কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরও শত্রুঘ্নর নিশানা ছিল মোদী-শাহ জুটিকে লক্ষ্য করেই। তিনি বলেন, ‘‘ইচ্ছাকৃতভাবে মার্গদর্শক মণ্ডলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আডবাণীজি-কে। জসবন্ত সিংহ ও যশবন্ত সিনহার সঙ্গেও এমন আচরণ করা হয়েছে। অথচ তাঁদের নিয়ে এই মণ্ডলের এখনও পর্যন্ত একটাও বৈঠক হয়নি। সমালোচনায় সরব বলে আমাকেও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়নি। যদিও আমার ভাবমূর্তি বরাবরই স্বচ্ছ।” কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর নোটবন্দিকে দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বলেও তোপ দাগেন শত্রুঘ্ন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ৪১ লক্ষের সম্পত্তি কমিয়ে দেখিয়েছেন অমিত! ভোটে না দাঁড়াতে দেওয়ার আর্জি নিয়ে কমিশনে কংগ্রেস​

আরও পড়ুন: অনুষ্ঠানের নাম করে ডেকে এনে দিল্লিতে নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ​

মোদী-শাহ জুটির নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে ‘ওয়ান ম্যান শো’ এবং ‘টু-ম্যান আর্মি’ বলেও কটাক্ষ করেন শত্রুঘ্ন। তাঁর কথায়, “স্বাধীন ভাবে কাজ করার অধিকার নেই কারও।আমাদের চোখের সামনে গণতন্ত্র একনায়কতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এখন সবকিছুই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে হয়। নামেই মন্ত্রী হয়ে বসে রয়েছেন লোকজন।”

কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর আসন্ন নির্বাচনে বিহারের পটনা সাহিবে শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে জল্পনা। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনাও জোরাল।এর আগে বিজেপির হয়ে সেখান থেকে দু’-দু’বার নির্বাচিত সাংসদ তিনি। এ বারে পটনা সাহিব থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে দাঁড় করাচ্ছে বিজেপি।

(কী বললেন প্রধানমন্ত্রী, কী বলছে সংসদ- দেশের রাজধানীর খবর, রাজনীতির খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement