—ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী ও চন্দ্রবাবু নায়ডু ভাল প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারেন বলে মনে করেন শরদ পওয়ার। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস ও এনসিপি জোট বেঁধে লড়লেও এনসিপি প্রধানের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থীর তালিকায় নেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর নাম। লোকসভা ভোটের মাঝে মরাঠা নেতার এই মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কি রাহুল গাঁধীর থেকেও তিন আঞ্চলিক নেতানেত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য বেশি যোগ্য বলে মনে করছেন?
বিতর্ক শুরু হওয়ায় এ বার শরদ পওয়ার নিজেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আমার মতে, এনডিএ-র নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সেক্ষেত্রে মমতা, নায়ডু ও মায়াবতী প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ভাল বিকল্প।’’ রাহুলকে এই তালিকায় না রাখা নিয়ে পওয়ারের ব্যাখ্যা, রাহুল নিজেই বলেছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে নেই।
পওয়ারের যুক্তি, ‘‘রাহুল শুধু পরিবর্তন চাইছেন। তার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রমও করছেন। আমরা ভোটের পরে আলোচনায় বসব। ২০০৪-এর মতো। অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি হবে। এক জন ব্যক্তিকে নেতৃত্ব দেওয়ার নির্বাচিত করা হবে। ২০০৪-এ মনমোহন সিংহকে নির্বাচিত করা হয়েছিল যিনি ভোটেই লড়েননি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাহুল গাঁধী গত বছর কর্নাটক নির্বাচনের আগেই স্পষ্ট করেছিলেন, কংগ্রেস বৃহত্তম দল হলে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হতে আপত্তি নেই। কংগ্রেস নেতৃত্বও এ নিয়ে কোনও ধোঁয়াশা রাখছেন না। খোদ প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা বলে রেখেছেন, কংগ্রেস জিতলে রাহুলই হবেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী শিবিরের মধ্যেও ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন, জেডি(এস) নেতা এইচ ডি দেবগৌড়া, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব রাহুলকে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুপারিশ করে রেখেছেন।
তা-ও পওয়ারের এ হেন মন্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কি আসলে নিজেই প্রধানমন্ত্রীর পদের দাবিদার হয়ে উঠতে চাইছেন? বিরোধী শিবিরের অন্যতম প্রবীণ নেতা হিসেবে ভোটের পরে পওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন বলে অনেকেই মনে করছেন। পওয়ারের অবশ্য যুক্তি, এনসিপি গোটা দেশে মাত্র ২২টি আসনে লড়ছে। ২২টি আসনে জিতলেও এনসিপি সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যার ধারেকাছে আসবে না। ফলে প্রধানমন্ত্রী পদের স্বপ্ন দেখাটাই অযৌক্তিক।