গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে রাহুল গাঁধীর সবচেয়ে বড় অস্ত্র রাফাল চুক্তির অসঙ্গতি। প্রায় প্রতিটি প্রচার সভায় স্লোগান তুলছেন ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। কিন্তু রাফাল ইস্যুতে সেই স্লোগান নিয়েই এ বার কার্যত বিপাকে কংগ্রেস সভাপতি। রাফাল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা করে জনসমক্ষে এবং সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন— বিজেপির এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাহুলকে নোটিস ধরাল সুপ্রিম কোর্ট। সাত দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২২ এপ্রিলের মধ্যে নোটিসের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরের দিন ফের এই মামলার শুনানি।
সোমবার রাহুলকে নোটিস দিয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমরা এটা স্পষ্ট করতে চাই, সংবাদ মাধ্যম এবং জনসমক্ষে নোটিস গ্রহণকারী (রাহুল গাঁধী) যে মন্তব্য করেছেন তা ভুল ভাবে আদালতের উপর চাপানো হয়েছে। আমরা আরও বলতে চাই, আদালত কখনও এই ধরনের পর্যবেক্ষণ করেনি। আমরা শুধু নথিপত্র (রাফাল) খতিয়ে দেখার অনুমতি দিয়েছিলাম।’’
বিতর্কের সূত্রপাত ১০ এপ্রিল বুধবার। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রচারে সেই রায়কেই হাতিয়ার করেন রাহুল গাঁধী। ওই দিনই অমেঠীতে তিনি বলেন, ‘‘আমি শীর্ষ আদালতকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সারা দেশ বলছে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। আজ উদযাপনের দিন, কারণ সুপ্রিম কোর্টও ন্যায়বিচারের কথা বলছে।’’
আরও পড়ুন: নাম না করে জয়াপ্রদার পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য আজম খানের, এফআইআর দায়ের পুলিশের
আরও পড়ুন: সঞ্চয়ের নিরিখে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে পিছনে ফেলেছে বহেনজির বিএসপি
এরপরই বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি সুপ্রিম কোর্টে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ইচ্ছাকৃত ভাবে আদালতের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা করা এবং নিজের বক্তব্য আদালতের উপর চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। মীনাক্ষীর ওই মামলার জেরেই এই নোটিস সুপ্রিম কোর্টের। অন্য দিকে প্রায় একই অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামণও। তবে এ নিয়ে রাহুল বা কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।