রামবিলাস পাসওয়ান। ফাইল চিত্র।
১০ বার বিহারের হাজিপুর থেকে লোকসভা ভোটে লড়ে, তিনি হেরেছেন মাত্র ২ বার। হাজিপুরের ৮ বারের (সব মিলিয়ে ৯ বারের) সাংসদ এ বার নিজের শক্ত ঘাঁটিতে এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন। আসছে বছর লোকসভা ভোটে রামবিলাস পাসওয়ানের বিরুদ্ধে লড়তে চান তাঁর নিজের মেয়ে আশা। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে আশার এই ইচ্ছের কথা প্রকাশ করলেন তাঁর স্বামী অনিল সাধু। তবে সবটাই নির্ভর করছে লালুপ্রসাদের ওপর। আরজেডি-র টিকিট পেলে তবেই বাবাকে টক্কর দিতে ময়দানে নামবেন আশা।
কিন্তু কেন এই যুদ্ধং দেহি ভাবনা? শ্বশুর রামবিলাস ও শ্যালকদের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সেটাই জানালেন রামবিলাসের জামাই অনিল। এলজেপি (লোকজনশক্তি পার্টি) সুপ্রিমো রামবিলাস পাসওয়ানের প্রথম পক্ষের স্ত্রী-র মেয়ে ও জামাই হলেন আশা পাসওয়ান এবং অনিল সাধু। দলের তফশিলি জাতি ও উপজাতি কর্মীদের সঙ্গে রামবিলাস ক্রীতদাসের মতো ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অনিলের দাবি, যে তথাকথিত নিম্নবর্ণের প্রতিনিধিত্ব করেন রামবিলাস, সেই জনগোষ্ঠীর মধ্যেও বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। সেই কারণেই নাকি নির্বাচনের ময়দানে জবাব দিতে চান অনিল ও আশা।
প্রথম পক্ষের স্ত্রী-র সন্তানদের কোনও ভাবেই আমল বা গুরুত্ব দেন না রামবিলাস, এমন অভিযোগও করেছেন জামাই অনিল। উদাহরণ হিসেবে তিনি সামনে এনেছেন রামবিলাসের একমাত্র পুত্রসন্তান চিরাগ পাসওয়ানের প্রসঙ্গ। যে ভাবে জামুই কেন্দ্র থেকে এলজেপি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর চিরাগকে সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল, তাতে স্পষ্ট পক্ষপাতিত্বের গন্ধ পেয়েছেন তিনি। রামবিলাসের ভাই রামচন্দ্র পাসওয়ানও বিহারের সমস্তিপুর কেন্দ্র থেকে এলজেপি সাংসদ।
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় গণধর্ষণকাণ্ডে জড়িত সেনা জওয়ান, ৩ অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ করল পুলিশ
বিষয়টি নিয়ে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ ও তাঁর ছেলে তেজস্বিনী-র সঙ্গেও কথা বলেছেন রামবিলাসের মেয়ে-জামাই। তাঁরাও বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে কথা দিয়েছেন অনিল আর আশাকে। অর্থাৎ, বল এখন লালুর কোর্টেই। যদিও এখনও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি লালু বা তেজস্বিনী। এক সময়ের বন্ধু, এখনকার শত্রু রামবিলাসের পরিবারের বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে লালু রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে নামবেন কি না, নজর এখন সে দিকেই। তা হলে নিশ্চিত ভাবেই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র হয়ে দাঁড়াবে বিহারের হাজিপুর।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে থাকায় কম ঘুম পাইলটের, তাই ভেঙেছিল যুদ্ধবিমান!
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)