শেষ দফা ভোটের আগে শনিবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর। সূত্রের খবর, আজকের ভোটে নির্বাচন কমিশনের ‘নিরপেক্ষ’ ভূমিকা নিশ্চিত করা এবং ‘ইভিএম-কারচুপি’র আশঙ্কা নিয়ে মূলত মতবিনিময় করেছেন তাঁরা।
এই দফায় পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মমতা সরব হওয়ার পরেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্য বিরোধী নেতারাও। পাশাপাশি ভোট মিটলেই বিরোধীদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। তাই বিরোধী শিবিরের নেতারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। সম্প্রতি মায়াবতীর সঙ্গেও কথা হয়েছে তৃণমূলনেত্রীর।
ভোট পরবর্তী পরিস্থিতির প্রস্তুতিতে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন চন্দ্রবাবু নায়ডুও। এদিন চন্দ্রবাবু আরও একদফা দেখা করেন রাহুলের সঙ্গে। বৈঠক করেন অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতীর সঙ্গেও। একইভাবে সিপিআই নেতা সুধাকর রেড্ডি ও ডি রাজার সঙ্গেও এদিন কথা বলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে রাহুলও শুক্রবার তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, মমতা, মায়াবতী, মুয়ায়ম সিংহ যাদব, চন্দ্রবাবুর মতো বিরোধী নেতারা কোনওভাবেই নরেন্দ্র মোদীকে সরকার গড়তে সাহায্য করবেন না বলে তাঁর বিশ্বাস। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধীদের জোট না হলেও সেখানে ভোটে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিরই জয় হবে। যার অর্থ রাহুল এই রাজ্যে তৃণমূল এবং উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী-অখিলেশের জোটের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
মমতার সঙ্গে এদিন রাহুলের কথা হয় দুপুরে। ইভিএমে কারচুপি হতে পারে বলে অভিযোগ এর আগেও বিরোধীরা তুলেছেন। নির্বাচন কমিশনেও দরবার করেছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে শাসকদল বিজেপির পক্ষে কাজ করার অভিযোগও তুলেছেন মমতাসহ একাধিক বিরোধীনেতা। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়েও অসন্তুষ্ট বিরোধী শিবির। মমতা-রাহুল ফোনালাপে এ নিয়ে কথা হয়। আজকের ভোটে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে তার মোকাবিলা করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।