জোট না হওয়ায় রাহুলকে তির কেজরীবালের

গত সপ্তাহেই রাহুল গাঁধী টুইট করে বলেছিলেন, ‘‘দিল্লিতে চারটি আসন কংগ্রেস আপকে ছেড়ে দিতে রাজি। কিন্তু অরবিন্দ কেজরীবালই ইউ-টার্ন নিচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:১২
Share:

—ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির সমঝোতা পুরোপুরি ভেঙে যাওয়ার আগেই এই ঘটনার জন্য অরবিন্দ কেজরীবালকে দায়ী করেছেন রাহুল গাঁধী। গত কাল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় ইতি টানার পরে এ বার রাহুলকে দায়ী করলেন কেজরীবাল।

Advertisement

গত সপ্তাহেই রাহুল গাঁধী টুইট করে বলেছিলেন, ‘‘দিল্লিতে চারটি আসন কংগ্রেস আপকে ছেড়ে দিতে রাজি। কিন্তু অরবিন্দ কেজরীবালই ইউ-টার্ন নিচ্ছেন। তা-ও কংগ্রেসের দরজা খোলা আছে।’’ সে দিনই টুইটের জবাব দিয়ে কেজরীবাল বলেছিলেন, ‘‘আলোচনা এখনও তো চলছে। কোথা থেকে ইউ-টার্নের প্রশ্ন আসছে?’’ পরে রাহুল ফের জানান, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি জোটের জন্য চেষ্টা করে যাবেন।

কিন্তু গত কাল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস বা আপের কেউই প্রার্থী প্রত্যাহার করেনি। ফলে দিল্লিতে লড়াই এখন ত্রিমুখী। আর তাতে সুবিধে বিজেপিরই। আজ এ নিয়ে মুখ খোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। জোট না হওয়ার জন্য তিনি সরাসরি দায়ী করেন রাহুল গাঁধীকেই। তাঁর মতে, শুধু দিল্লিতে নয়, উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপির ক্ষতি করেছেন রাহুল। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করছেন। অন্ধ্রে চন্দ্রবাবু নায়ডুকে, কেরলে বামেদের।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কেজরীবাল আজ জানান, প্রথমে দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, গোয়া মিলিয়ে ৩৩টি আসনে সমঝোতার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস জানায়, পঞ্জাব, গোয়ায় আসন সমঝোতা হবে না। আপ তা মেনে নেয়। তারপরে দিল্লি, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ের ১৮টি আসনে সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছিল। গত মঙ্গলবার গুলাম নবি আজাদ আপের সঞ্জয় সিংহকে ডেকে সমঝোতা চূড়ান্ত করেন। পরদিন দুই দলের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে তা ঘোষণারও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরদিন থেকে ফোন ধরা বন্ধ করে দেন কংগ্রেস নেতারা। বিকেলে নতুন শর্ত আরোপ করেন। আপ তা-ও মেনে নেয়। তারপরেও পিছিয়ে যায় কংগ্রেস।

কেজরীবালের মতে, “গোটা বিশ্বের ইতিহাসে কোনও জোট নিয়ে আলোচনা টুইটে হতে দেখেছেন কখনও? আসলে রাহুল গাঁধী প্রকাশ্যে দেখাচ্ছিলেন, তিনি জোট করতে আগ্রহী। কিন্তু আসলে করতে চাননি।” দিল্লিতে কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা নেতা পি সি চাকোর দাবি, এই অভিযোগ আদৌ সত্যি নয়। আপকে বরাবর বলা হয়েছিল শুধু দিল্লিতে সমঝোতা করতে। ৪-৩ সমীকরণেও রাজি ছিলেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু আপই হরিয়ানা, পঞ্জাব নিয়ে গোঁ ধরে ছিল। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, আপের সঙ্গে তাঁর রাজ্যে কোনও সমঝোতা হবে না। হরিয়ানাতেও যে জেদ ধরে বসেছিলেন কেজরীবাল, সেটিও মানা সম্ভব ছিল না। আবার শুধুমাত্র দিল্লিতে সমঝোতায় রাজি ছিল না আপ। ফলে জোট না হওয়ার দায় তাদেরই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement