ভোটপ্রচারে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র
রাহুল গাঁধী কি ফাঁকিবাজ? মোদীর সঙ্গে তুলনা টেনে কার্যত এটাই প্রতিপন্ন করতে চাইলেন অমিত শাহ। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন রাহুলকে। ঝাড়খণ্ডের পালামৌতে ভোটপ্রচারে গিয়ে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘রাহুল বাবা’ দু’-তিন মাস অন্তর এক বার ছুটি নেন। আর মোদী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাতে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা ঘুমোন। গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন। ছুটি নেন না। কয়েক দিন আগে বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারেও উঠে এসেছিল এই প্রসঙ্গ। এ বার সেটাকেও ভোট প্রচারে হাতিয়ার করলেন অমিত শাহ। মোদীর সঙ্গে রাহুলকে একই দাঁড়িপাল্লার দু’দিকে ফেলে তুল্যমূল্য বিচার পেশ করেন অমিত শাহ।
পালামৌর সভায় অমিত শাহ এদিন বলেন,‘‘আমি মোদীজির সঙ্গে গুজরাতে থেকে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। এই ২০ বছরে মোদীজি এক দিনও ছুটি নেননি। অন্য দিকে, আপনারা রাহুল বাবাকে জানেন। তিনি দু’মাস-তিন মাস অন্তর দলের নেতা-কর্মী, সমর্থক এমনকি, মাকে পর্যন্ত উদ্বেগে রেখে বিদেশে ছুটি কাটাতে যান।’’
আরও পড়ুন: পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মায়া, মমতা বা চন্দ্রবাবুকেই পছন্দ, রাহুলের নামই করলেন না শরদ
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সুবিধার পাওয়ার জন্য নিজের সম্প্রদায়কে ‘ওবিসি’ গোষ্ঠীভুক্ত করেছিলেন মোদী: মায়াবতী
জাতীয়তাবাদ ইস্যুতেও এ দিন কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, কংগ্রেস কখনই পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেয়নি। এই প্রসঙ্গেই ২০১৩ সালে পাক সেনার হাতে ভারতীয় সেনা জওয়ান ল্যান্সনায়েক হেমরাজের গলা কাটার প্রসঙ্গও টেনে আনেন অমিত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে টেনে অমিত বলেন, ‘‘হেমরাজের গলা কাটা দেহ উদ্ধারের সময় কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু মনমোহনজি বরাবরের মতো এই ঘটনাতেও নীরব ছিলেন।’’ কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কংগ্রেস মদত দিচ্ছে বলেও এ দিন অভিযোগ তুলেছেন অমিত শাহ।