প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন। ছবি: এপি।
শুক্রবার মনোনয়ন পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বারাণসী কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মোদী মনোনয়নপত্রে তাঁর ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করেছেন। সেই তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের পর থেকে প্রায় ৫২ শতাংশ সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে তাঁর। বর্তমানে নরেন্দ্র মোদীর মোট সম্পদের পরিমাণ ২.৫১ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১.৬৫ কোটি টাকা।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫১ লক্ষ টাকা, চলতি বছরে মনোনয়নপত্র দাখিলের তথ্য অনুযায়ী, তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১.৪১ কোটি টাকা। এ ছাড়াও তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মনোনয়নপত্রে নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়া হলফনামায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর আয়ের মূল উৎস, তাঁর বেতন এবং ব্যাঙ্কে জমানো অর্থের সুদ। এছাড়াও চলতি বছরের ৩১ মার্চের হিসাব অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর হাতে রয়েছে ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: এই প্রথম প্রতিষ্ঠানপন্থী হাওয়া বইছে দেশে, মনোনয়ন দাখিলের আগে দাবি মোদীর
প্রধানমন্ত্রীর স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৪,১৪৩ টাকা। এ ছাড়া এসবিআই-এ একটি ফিক্সড ডিপোজিট করিয়েছিলেন মোদী৷ সেই স্থায়ী আমানত বা এফডি বেড়ে এখন ১.২৭ কোটি টাকা। ২০ হাজার টাকার সরকারি বন্ড ও ৭.৬১ লক্ষ টাকা এনএসসি-তে লগ্নি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বারাণসীতে লড়ছেন না প্রিয়ঙ্কা
এ দিন তাঁর পেশ করা হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১.১৩ কোটি টাকা মূল্যের ৪টি সোনার আংটি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। একটি জীবন বিমা রয়েছে, যার দাম ১.৯০ লক্ষ টাকা। পিএমও অফিসের তরফে তিনি পান ১.৪০ লক্ষ টাকা। গাঁধীনগরে ২০০২ সালে ১,৩০,৪৮৮ টাকায় একটি বাড়ি কিনেছিলেন তিনি। বর্তমানে বাড়িটির বাজার দর ১.১০ কোটি টাকা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আয়কর দফতরে তাঁর কোনও দায় নেই, বরং ৮৫,১৪৫ টাকা আয়কর দফতর থেকে পাওনা রয়েছে তাঁর। হলফনামা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে কোনওরকম অপরাধমূলক মামলা নেই। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্যে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক স্তরের পরীক্ষায়, গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর পাশ করেন নরেন্দ্র মোদী।