‘নমো টিভি’ ঘিরে বিতর্ক চলছেই।
টুইটটা করা হয়েছে আজ ভোর ৫টা ৩৪ মিনিটে— ‘‘স্বাস্থ্যের রাজপথে আসুন নমো টিভির সঙ্গে। এখনই দেখুন ‘যোগা উইথ মোদী’।’’ এই টুইটের নীচেই কম্পিউটারে তৈরি একটি মানুষ। নীল টি-শার্ট, কালো ট্র্যাকপ্যান্ট। সাদা চুল, সাদা চাপদাড়ি। যেন সত্যিকারের ‘নমো’!
পাশাপাশি দু’টি ছবির একটিতে সেই মানুষ দাঁড়িয়ে আছে দু’হাত ছড়িয়ে। অন্যটিতে পায়ের পাতা ছুঁয়ে ব্যায়ামের ভঙ্গি। উজ্জ্বল নীল রেখা টেনে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আসনের সময়ে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অবস্থান।
অনেকটা সত্যিকারের ‘নমো’, মানে নরেন্দ্র মোদীর মতোই। ‘ভার্চুয়াল মোদী’-র যোগ-বিবরণ ও দেশবাসীকে তা অনুসরণের এই আহ্বান প্রচারিত হয়েছে ‘নরেন্দ্রমোদী ডট ইন’ নামক টুইটার পেজ থেকে। সেটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ‘নরেন্দ্রমোদী ডট ইন’-এরই টুইটার অ্যাকাউন্ট। পেজেও সে কথা লেখা আছে।
এক দিন আগেই ‘নমো টিভি’ নিয়ে প্রশ্ন করায় টিভি সাক্ষাৎকারে মোদী বলেছিলেন, ‘‘কিছু লোক এটি চালাচ্ছেন। আমার দেখা হয়নি।’’ ‘মোদী-সদৃশ’ অবয়বের যোগাসনের টুইটের নীচে অবশ্য কটাক্ষের ছড়াছড়ি। পোস্ট হয়েছে একাধিক কার্টুন— কোনওটিতে নিজেকে পাম্প দিয়ে ফুলিয়ে দিয়েছেন মোদী, কোনওটিতে দেখা যাচ্ছে, জনতাকে নিংড়ে তেল বার করছেন অমিত শাহ। সেই তেলে পকোড়া ভাজছেন মোদী।
এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর জীবনীচিত্র ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’ ভোটের আগে মুক্তি পাবে কি না, তা নিয়ে আগামী সোমবারের আগে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বক্তব্য। কারণ, ছবিটির মুক্তি পিছোনো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এক কংগ্রেস কর্মীর আর্জির শুনানি রয়েছে সোমবার। কোর্টের রায় দেখে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
‘নরেন্দ্রমোদী ডট ইন’ যদিও অবিচল। রাত ৮টা ৫ মিনিটেই পোস্ট হয়ে গেল কাল মোদীর সারাদিনের কর্মসূচি। সকাল সাতটায় ‘যোগ’, দশটায় কোচবিহার। সভা আছে বাকি।