নরেন্দ্র মোদী।—ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে বাকি মাত্র কয়েক মাস। তার আগে জনগণের নাড়ি বুঝে নিতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই একটি অনলাইন সমীক্ষা চালু করলেন। তাতে সাধারণ মানুষের কাছে পছন্দের বিজেপি নেতার নাম জানতে চেয়েছেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাতে বেছে বেছে জনপ্রিয় নেতাদেরই টিকিট দেওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী ‘নমো’ অ্যাপের মাধ্যমে ‘পিপলস পালস’নামের সমীক্ষাটি চালু করা হয়েছে। তাতে নির্বাচনী কেন্দ্র, প্রশাসনিক কাজকর্ম-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। নিজের নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে তিনজন পছন্দের বিজেপি নেতার নামও জানতে বলা হয়েছে তাঁদের। আর তাতেই টনক নড়েছে বিজেপির ২৬৮ জন লোকসভা সাংসদের। দলীয় সূত্রে খবর, টিকিট পাওয়া নিয়ে এমনিতেই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে এই পদক্ষেপ দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে সকলের।
সোমবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন নরেন্দ্র মোদী। তাতে সমীক্ষায় অংশ নিতে সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানান তিনি। পরে সেটি টুইট করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও। এর আগে ‘মাইগভ’ অ্যাপে পণ্য পরিষেবা বিল (জিএসটি) সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে মানুষের মতামত চাইতে দেখা গিয়েছে মোদী সরকারকে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে জনপ্রিয় নেতাদের তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ এই প্রথম।
সমীক্ষায় অংশ নিতে মানুষকে আহ্বান নরেন্দ্র মোদীর।
আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের মন পেতে কি এ বার আয়করে ছাড়? জোর জল্পনা অন্তর্বর্তী বাজেটে
আরও পড়ুন: শবরীমালায় ঢুকে ইতিহাস গড়া কনক দুর্গা শাশুড়ির মারে হাসপাতালে
এর আগে, মহাজোট নিয়েও মতামত চাওয়া হয়েছিল ‘নমো’ অ্যাপে। নিজের নিজের এলাকায় মহাজোটের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতখানি, তা জানাতে বলা হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে হার জুটেছে বিজেপির কপালে। হিন্দি বলয়ের তিন-তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ় হাতছাড়া হয়েছে তাদের। এমনকি উত্তরপ্রদেশ লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও পরাজিত হয়েছে। অন্য দিকে, বিজেপির চিন্তা বাড়িয়েছে বিরোধী জোটগুলিও। জোট বেঁধে কর্নাটকে সরকার গড়েছে কংগ্রেস-জেডিএস। উত্তরপ্রদেশে সম্প্রতি হাত মিলিয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ও মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে মেপেজুপে পা ফেলতে চাইছে বিজেপি। তাই সাধারণ মানুষের মতামতকে ভরসা করেই এগোতে চাইছে তারা।