—ফাইল চিত্র।
লালকৃষ্ণ আডবাণী ব্লগ লিখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। আজ অন্য ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপির আর এক প্রবীণ নেতা মুরলী মনোহর জোশী।
গত কয়েক দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আডবাণীকে লেখা জোশীর একটি চিঠি ঘুরে বেড়াচ্ছে। জোশীর ঘনিষ্ঠ শিবির অবশ্য গোড়া থেকে বলে আসছিল, চিঠিটি ভুয়ো। সেই কারণেই তথাকথিত চিঠিটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচারও হয়নি। কিন্তু আজ জোশী এই চিঠির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়ে বিতর্কটি সুকৌশলে সামনে নিয়ে এলেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে চিঠি লিখে জোশী জানিয়েছেন, লালকৃষ্ণ আডবাণীকে যে চিঠি তিনি লেখেননি, সেটি ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই চিঠি এল কোথা থেকে, তার তদন্তেরও দাবি তুলেছেন বিজেপির প্রবীণ নেতা।
গুজরাতের গাঁধীনগর থেকে আডবাণীকে টিকিট না দেওয়ার আগেই জোশীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁকে কানপুর থেকে প্রার্থী করা হবে না। সেই সময়ে কানপুরবাসীর উদ্দেশে জোশীর তিন লাইনের একটি বার্তাও এ ভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরপাক খাচ্ছিল। যেখানে জোশী বিজেপি নেতৃত্বের মুখোশ খুলে দিতে চেয়ে বলেন, সংগঠনের নেতা রামলাল তাঁকে প্রার্থী না করার কথা জানিয়েছেন। অথচ তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছিল, তিনি নিজে থেকেই সরে যাচ্ছেন, এমনটাই বলতে। সেই চিঠির সত্যতা নিয়ে জোশী কোনও কথা বলেননি। এ বারে অবশ্য করলেন। কিন্তু কী আছে এই তথাকথিত চিঠিতে? সোশ্যাল মিডিয়াতে থাকা আডবাণীকে লেখা জোশীর চিঠিতে বিজেপির প্রবীণ নেতার উষ্মাই সামনে এসেছে। তাতে আডবাণীকে বলা হয়েছে, প্রথম দফায় ৯১ টি আসনের ভোটে বিজেপি ৮-১০ টি আসনই পাবে। পরের দুই পর্বেও ভাল ফলের ইঙ্গিত মিলছে না। চিঠির বক্তব্য, দুই নেতার আলোচনাতে আডবাণী জানিয়েছিলেন, বিজেপি মিলিয়ে ১২০ টি আসন পেতে পারে, তবে জোশীর মত ছিল দেড়শোটি। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে আডবাণীর কথাই মিলতে চলেছে। এই অবস্থায় দুই নেতার উচিত, জনতার সামনে সব সত্য তুলে ধরা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপির নেতারা বলছেন, চিঠিটি যে ভুয়ো, তা বোঝাই যাচ্ছে। আর এ সব কথা বলার জন্য জোশীর চিঠি লেখার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যে উদ্দেশ্যেই লেখা হোক, এ সব প্রবীণদের ‘মনের কথা’।