National News

‘প্রজ্ঞাকে ভোট দেবেন না’, লিখে ট্রোলড ফারহান

যদিও ভোপালে ভোট হয়ে গিয়েছে সাত দিন আগে, ষষ্ঠ দফার ভোটপর্বে, গত ১২ মে। ফলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দিন তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় ফারহানকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৯ ১৫:৫০
Share:

ছবি টুইটারের সৌজন্যে।

ভুল বলেননি। কিন্তু কথাটা একটু দেরিতে বলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের শিকার হলেন বলিউড অভিনেতা ফারহান আখতার। নাথুরাম গডসেকে নিয়ে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভোপাল লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরকে ভোট না দেওয়ার জন্য রবিবার টুইট করেন ফারহান। যদিও ভোপালে ভোট হয়ে গিয়েছে সাত দিন আগে, ষষ্ঠ দফার ভোটপর্বে, গত ১২ মে। ফলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দিন তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় ফারহানকে।

Advertisement

দক্ষিণী অভিনেতার একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কয়েক দিন আগে মহাত্মী গাঁধীর আততায়ী নাথুরাম গডসেকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলে প্রশংসা করেন প্রজ্ঞা। বলেছিলেন, ‘‘গডসে দেশপ্রেমিক ছিলেন, আছেন, থাকবেনও। তাঁকে সবাই দেশপ্রেমিক হিসেবে মনে রাখবেন।’’

তারই প্রেক্ষিতে রবিবার তাঁর টুইটে ফারহান লেখেন, ‘‘প্রজ্ঞাকে ভোট না দেওয়ার জন্য আমি ভোপালের ভোটারদের অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রিয় ভোটার, আপনারা ভোপাল শহরে সেই গ্যাস দুর্ঘটনার মতো ঘটনাকে আর ফিরিয়ে আনবেন না।’’ ফারহান ১৯৮৪-র ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার কথা বলতে চেয়েছিলেন। যাতে ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

Advertisement

ওই টুইটে ফারহান কয়েকটি হ্যাশট্যাগও দেন- #সেনোটুপ্রজ্ঞা, #সেনোটুগডসে, #রিমেম্বারদ্যমহাত্মা এবং #চুজলাভনটহেট।

আরও পড়ুন- আজও ভোটবিধি ভঙ্গ করছেন প্রধানমন্ত্রী, অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন, কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের​

আরও পড়ুন- ফারহানের প্রাক্তন স্ত্রী এবং বর্তমান প্রেমিকার হঠাত্ দেখা, তারপর...​

এর পরেই ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক জন লেখেন, ‘‘স্যর, আপনি একটু দেরি করে ফেলেছেন। ভোপালে ভোট হয়ে গিয়েছে ১২ (মে) তারিখে। আপনি বরং পঞ্জাবের ভোটারদের কাছে আবেদন জানান, যাতে তাঁরা শিখ গণহত্যার স্মৃতি না ফিরিয়ে আনেন।’’ ভোপালে প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ।

আর এক জন তাঁর টুইটে লেখেন, ‘‘আপনার ইন্টারনেট কানেকশানটা এখনই বদলে ফেলুন। আপনার টুইটগুলি ১০ দিন পর সকলে জানতে পারছেন।’’

প্রজ্ঞার মন্তব্যের সমালোচনায় বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই সরব হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলতে বাধ্য হন, প্রজ্ঞার মন্তব্যের জন্য কখনওই তিনি তাঁকে ক্ষমতা করতে পারবেন না। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও টুইট করে নিন্দা করেন প্রজ্ঞার ওই মন্তব্যের। প্রজ্ঞা পরে তাঁর টুইটটি মুছে দিয়ে ক্ষমা চান। নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী কৈলাস সত্যার্থীও গত কাল বলেন, ‘‘গডসে শরীরী গাঁধীকে খুন করেছিলেন। প্রজ্ঞার মতো ব্যক্তিদের হাতে খুন হচ্ছে গাঁধীর আত্মা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement