ফের বিপাকে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। গান-বিতর্কের পর এ বার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ। বুধবার ওই অভিযোগে নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’-র প্রযোজকদের নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন।
এর আগেই ছবিটির বিরুদ্ধে ওই অভিযোগে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। বুধবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নোটিশ পাঠায় দিল্লির নির্বাচন কমিশন। দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রণবীর সিংহ এ দিন জানান, আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে ওই বায়োপিকের প্রযোজকদের কমিশনের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রণবীর সিংহ বলেন, “নির্বাচনের সময় সোশ্যাল বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কোনও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিতে গেলেও আগে থেকে মিডিয়া সার্টিফিকেশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটির অনুমতির প্রয়োজন হয়।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ওই বায়োপিকের প্রযোজক ছাড়াও এর মিউজিক কোম্পানি-সহ দু’টি সংবাদপত্রকেও নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন। ওই দুই সংবাদপত্রেই ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’-র বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইলের সফল পরীক্ষা, মহাকাশে ভারত এখন মহাশক্তি, বললেন মোদী
আরও পড়ুন: সোমনাথ মন্দিরে পুরোহিত ধমকেছিলেন রাহুলকে, বললেন আদিত্যনাথ
বিবেক ওবেরয় অভিনীত ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’-র মুক্তির কথা ছিল আগামী ১২ এপ্রিল। তবে পরে দিনক্ষণ পরিবর্তন হয়েছে। এখন মুক্তি পাওয়ার কথা প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনের আগে, আগামী ৫ এপ্রিল। এই বায়োপিকের বিরুদ্ধে গত সোমবার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং আরপিএন সিংহের মতো কংগ্রেস নেতারা। কপিল সিব্বলের অভিযোগ ছিল, এই বায়োপিকের সঙ্গে শিল্পকলার কোনও সম্পর্ক নেই। নির্বাচনের আগে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্যই রাজনৈতিক ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই তা তৈরি করা হয়েছে। এবং এই বায়োপিক বন্ধেরও দাবি করেছিলেন তাঁরা।
বায়োপিকের গান নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। এর ট্রেলার মুক্তির পর তাতে গীতিকার জাভেদ আখতার ও সমীরের নাম থাকায় তা নিয়েও বিতর্ক হয়। দু’জনেই তাতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, ওই বায়োপিকের জন্য তাঁরা গান লেখেননি।
এ বার কমিশনের নোটিশের পর ফের বিতর্কের ঘোলাজলে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)