নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর। দিল্লিতে। ছবি- সংগৃহীত।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনায় বসল নির্বাচন কমিশন। দিল্লিতে কমিশনের আধিকারিকেরা আজ মোর্চার বিমল গুরুং শিবির এবং বিনয় তামাং শিবিরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ওই বৈঠকে বিমল গোষ্ঠীর হয়ে হাজির ছিলেন রোশন গিরি। একাধিক মামলায় রাজ্য পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। রোশন-সহ মোর্চার অন্য নেতারা গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন।
কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বিবদমান কোন গোষ্ঠীর হাতে মোর্চার নেতৃত্ব থাকবে— সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। মোর্চার বর্তমান এবং প্রাক্তন নেতৃত্বের বক্তব্য শুনে কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। সেই নির্দেশ অনুসারে, আজ ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার চন্দ্রভূষণ দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বিনয়দের তরফে একাধিক আইনজীবীও হাজির হয়েছিলেন। বৈঠকের পর রোশন বলেন, ‘‘দু’বছর আগে দলের সংবিধান মেনে বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের মোর্চা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। বহিষ্কৃত নেতারা কী ভাবে দলের পদে থাকতে পারেন? কী ভাবে তাঁরা প্রতীক পেতে পারেন? আমাদের পক্ষে কতজন রয়েছেন, সেই তালিকাও কমিশনকে দিয়েছি।’’
হাইকোর্টে মামলা করে অনীত অভিযোগ জানিয়েছিলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোর্চার প্রার্থী হতে পারেন বিমল এবং রোশন। কমিশনের রেকর্ড অনুযায়ী, এখনও মোর্চার সভাপতি বিমল এবং সম্পাদক রোশন। কমিশনের কাছে বারবার উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে তাঁদের নাম সরানোর আবেদন করা হলেও কমিশন কোনও পদক্ষেপ করছে না। কমিশনের পাল্টা বক্তব্য ছিল, মোর্চার নাম তাদের তালিকায় নথিভুক্ত রয়েছে, কিন্তু তারা স্বীকৃত রাজনৈতিক দল নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো শতাংশের বিচারে নির্দিষ্ট কোনও প্রতীক তারা ব্যবহার করতে পারে না। রোশনেরা কমিশনকে জানিয়েছেন, গত বছর গুরুং কমিশনকে চিঠি দিয়েও জানিয়ে রেখেছিলেন যে তাঁরাই কমিশনের স্বীকৃতি পাওয়া রাজনৈতিক দল।