প্রতীকী ছবি।
পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনের ভোট দ্বিতীয় দফা থেকে সরিয়ে তৃতীয় দফায় করার যে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন গতকাল নিয়েছে, তাকে ঘিরে এ বার টানাপড়েন শুরু হয়েছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে। বিরোধী কংগ্রেস বা সিপিএম যখন দাবি করছেন, তাঁদের চাপেই এটা হয়েছে, তখন শাসক বিজেপিও একই দাবিতে সরব। দু’পক্ষেরই দাবি ‘সুষ্ঠু ও অবাধ’ নির্বাচনের স্বার্থে তাঁরা কমিশনের কাছে এই দাবি করেছিলেন। এবং সকলেই কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
কমিশন সূত্রের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঠিক মোতায়েনের কাজটি মসৃণ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত রাতেই ভোট পিছনোর সিদ্ধান্তের পাশাপাশি নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েনের দায়িত্বে থাকা এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) রাজীব সিংহকে কমিশন সরিয়ে দেয়। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশের দাবি, পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভোটের পর তাঁরা এই অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানান। এ তারই ফল। একই দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যোৎকিশোর দেববর্মনেরও। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঠিক মোতায়েনের দাবি তাঁরা জানিয়েছিলেন। তাঁদের লক্ষ্য, মানুষ যেন নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করা। কমিশন সেটাই করছেন। আর কমিশন সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর গতকাল মধ্যরাতে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ ও মুখপাত্র অশোক সিনহা জানান, পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বিরোধীরা সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের চক্রান্ত করছে বলে দিন দুই আগে বিজেপি প্রতিনিধিদল কমিশনের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানায়। কমিশন সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভোট পিছিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে এ বার বিরোধীদের সমস্ত চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক দাবি ও পাল্টা-দাবির মধ্যে কমিশনের তরফে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন। পূর্ব ত্রিপুরা আসনে অবাধ নির্বাচনের জন্য তিনি ব্যস্ত।