প্রতীকী ছবি।
পার্টি কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট ভেস্তে গেছে পশ্চিমবঙ্গে। কেরলেও ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী প্রার্থী হয়েছেন এবং তাঁকে হারাতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবেন বলে জানিয়েছেন সিপিএম নেতা প্রকাশ কারাট। কিন্তু লোকসভা ভোটের পরে সরকার গঠনের প্রশ্নে কংগ্রেসকে সমর্থনের রাস্তা খোলাই রাখল সিপিএম। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি রবিবার কলকাতায় দলের রাজ্য দফতরে বলেন, ‘‘আমাদের মনে হয়, লোকসভা ভোটের পর কেন্দ্রে বিকল্প ধর্মনিরপক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার তৈরি হবে। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখাই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’’
বিরোধীদের বিকল্প ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের প্রয়াস সম্পর্কে মূলত তিনটি প্রশ্ন তুলছে বিজেপি।
এক, বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? দুই, বিভিন্ন রাজ্যে পরস্পরের সঙ্গে যুযুধান দলগুলি কী ভাবে কেন্দ্রে ঐক্যবদ্ধ সরকার গড়বে? তিন, ওই সরকারের স্থায়িত্বই বা কত হবে? এই তিন প্রশ্নের জবাবেই এ দিন ইয়েচুরি মনে করিয়ে দেন, অতীতেও দেশে লোকসভা ভোটের পর জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঠিক হয়েছে এবং সেই সরকার স্থায়ীও হয়েছে। আর বিভিন্ন রাজ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করেও কেন্দ্রে সরকার গঠনের সময় বিভিন্ন দলের ঐক্যবদ্ধ জোট গড়ার নজির এর আগেও রয়েছে। এই প্রসঙ্গেই ইয়েচুরি উদাহরণ দেন, ১৯৯৬ সালে কেন্দ্রে অকংগ্রেসি জোট ক্ষমতায় গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন এইচ ডি দেবগৌড়া। বামেরা সেই সরকারকে সমর্থন করেছিল। ২০০৪ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকেও বাইরে থেকে সমর্থন করেছিল বামেরা। সে বার গোটা দেশে বামফ্রন্টের ৬১ জন সাংসদ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫৭ জনই লোকসভায় গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীদের হারিয়ে। কিন্তু তার পরেও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে সমর্থন করতে তাঁদের অসুবিধা হয়নি।