Lok Sabha ELection 2019

খুনের দায়ে জেল খাটছেন বাবা, মেয়েকে ভোটের টিকিট দিতে হুড়োহুড়ি

কংগ্রেসের তাঁকে বাদ দেওয়া নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি তনুশ্রী ত্রিপাঠি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ১৬:৫৬
Share:

তনুশ্রী ত্রিপাঠি। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

খুনের দায়ে জেল খাটছেন বিধায়ক। তাঁর মেয়েকে টিকিট দিতেই হুড়োহুড়ি। লোকসভা নির্বাচনের আগে এমনই পরিস্থিতি উত্তরপ্রদেশে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লখনউ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে মহারাজগঞ্জের প্রার্থী হিসাবে তনুশ্রী ত্রিপাঠির নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। যদিও এক সপ্তাহ আগে, ওই মহারাজগঞ্জ আসনেই তনুশ্রীর নাম ঘোষণা করেছিল অখিলেশ যাদবের কাকা শিবপাল যাদবের প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টি-লোহিয়া (পিএসপি-এল)। বিষয়টি সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায় চারিদিকে। সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে কংগ্রেস। তার জেরে তড়িঘড়ি তনুশ্রীর নাম হটিয়ে সাংবাদিক সুপ্রিয়া শ্রীনেতকে ওই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে তারা।

মহারাজগঞ্জে কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন বলে পরে টুইট করেন সুপ্রিয়া শ্রীনেত নিজেও। তিনি লেখেন, ‘সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছি। ভরসা করে আমার উপর মহারাজগঞ্জের দায়িত্ব ছেড়েছেন। তার জন্য কংগ্রেস, রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ আমি। স্বর্গীয় বাবার উত্তরাধিকার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে সম্মানিত আমি।’এই মহরাজগঞ্জ থেকেই দু’-দু’বার কংগ্রেসের হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন সুপ্রিয়ার বাবা হর্ষবর্ধন। সুপ্রিয়া নিজে এতদিন একটি জনপ্রিয় ইংরেজি খবরের চ্যানেলে সঞ্চালনা করতেন। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর সেখান থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সুপ্রিয়া শ্রীনেতের টুইট।

আরও পড়ুন: পাকিস্তান এখনও লাশ গুনছে, বিরোধীরা প্রমাণ চাইছেন, মোদীর নিশানায় বিরোধীরা​

আরও পড়ুন: সারদা কাণ্ডের কল রেকর্ডস দিচ্ছে না এয়ারটেল-ভোডাফোন! সিবিআই-এর নালিশে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের​

অন্য দিকে, কংগ্রেসের তাঁকে বাদ দেওয়া নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি তনুশ্রী ত্রিপাঠি। তবে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী তাঁকে বেশ পছন্দ করেন বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। তাঁর বাবা অমরমণি ত্রিপাঠি নৌতনওয়া থেকে চার-চারবার বিধায়ক নির্বাচিত হন। মায়াবতী এবং মুলায়ম সিংহ যাদব সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন। তবে ২০০৩ সালে মধুমিতা শুক্ল হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ায় তাঁর। ২২ বছর বয়সী উঠতি কবি মধুমিতার সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে শোনা যায়। সেই মধুমিতা শুক্লকে খুনের দায়ে ২০০৭ সালে অমরমণি ত্রিপাঠি ও তাঁর স্ত্রী মধুমনি ত্রিপাঠিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

লন্ডনে পড়াশোনা করা তনুশ্রী এর আগে, ২০১৭ সালে দাদা আমনমণি ত্রিপাঠির হয়ে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার চালিয়েছিলেন। সে বার নির্দলপ্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেন আমনমণি ত্রিপাঠি।

(কী বললেন প্রধানমন্ত্রী, কী বলছে সংসদ- দেশের রাজধানীর খবর, রাজনীতির খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement