ছবি: সংগৃহীত।
নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের গুজরাতে ভোট-অফিসাররা নিরপেক্ষ কাজ করেন না। গুজরাত হাইকোর্টের একটি রায়কে সামনে এনে আজ এই অভিযোগ জানাল কংগ্রেস। একই সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের সময় ভোটের দায়িত্বে থাকা অফিসারদেরও নিরপেক্ষ কাজ করার আবেদন জানাল।
ঘটনাটি ২০১৭ সালে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের সময়। ঢোলকা কেন্দ্র থেকে রাজ্যের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী ভূপেন্দ্রসিংহ চুড়াসামা জিতেছিলেন মাত্র ৩২৭টি ভোটে। অথচ পোস্টাল ব্যালট খারিজ হয়েছে ৪২৯টি। কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আজ দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, নিয়ম অনুসারে ভোটের ব্যবধানের থেকে খারিজ ভোট বেশি হলে নতুন করে তা গণনা করা দরকার। শেষ ভোট গণনার আগের ধাপেই তা আটকে দেওয়া দরকার। আদালতেই রিটার্নিং অফিসার কবুল করেছেন, সে সব নিয়ম তিনি পালন করেননি। উল্টে নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে গণনাকেন্দ্রে মোবাইল ফোনে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। সে ভিডিয়োও আদালতে পেশ করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার তা স্বীকারও করেছেন।
অভিষেকের মতে, গুজরাত আদালতের এই রায়টি দেশে চলতে থাকা লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ভোটের সঙ্গে জড়িত থাকা এই অফিসারদের অবিলম্বে সাসপেন্ড করা উচিত। শুধু তাই নয়, সব অফিসার, পর্যবেক্ষক কিংবা রিটার্নিং অফিসারদের কাছেও এটি বিচারব্যবস্থার থেকে একটি বার্তা। বিশেষ করে যাঁরা আগামী ৫-৬ সপ্তাহ গোটা দেশে ভোটের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন।