ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ ঢোকানোর কথা বলেনি বিজেপি, সাফাই রাজনাথ সিংহের। —ফাইল চিত্র
২০১৪ সালে আম জনতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করার প্রতিশ্রুতির দায় ঝেড়ে ফেলল বিজেপি। মঙ্গলবার রাজনাথ সিংহ জানিয়ে দিলেন, বিজেপি কখনও বলেনি ‘১৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, শুধু কালো টাকা দেশে ফেরানোর কথা বলেছিল বিজেপি। কমল নাথের সহযোগীদের বাড়িতে অভিযান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এই অভিযোগে সরব বিরোধীরা। রাজনাথের অবশ্য নির্লিপ্ত জবাব, ‘‘স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা তাদের নিজের তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করছে। এর সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, কালো টাকা দেশে ফেরাতে পারলেই আম জনতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ দূরে থাক, ২০১৯ লোকসভা ভোটের জন্য সোমবার প্রকাশিত দলের ইস্তাহারে সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ পর্যন্ত নেই। এ নিয়ে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিল, ‘‘কোথায় গেল মোদীর সেই প্রতিশ্রুতি?’’
আর ইস্তাহার প্রকাশের পরের দিন মঙ্গলবারই সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর মুখোমুখি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাৎকারেও অবধারিত ভাবেই উঠে আসে সেই অস্বস্তিকর প্রশ্ন। রাজনাথ অবশ্য ১৫ লাখের প্রতিশ্রুতির দায় ঝেড়ে ফেলারই চেষ্টা করে বললেন, ‘‘কখনও বলিনি ১৫ লাখ টাকা আসবে (আম জনতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে)। আমরা বলেছিলাম, কালো টাকার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের সরকারই কালো টাকা ফেরাতে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা এসআইটি গঠন করেছে।’’ কিন্তু কালো টাকার ফেরানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি, সেটাই বা ফিরল কোথায়? কার্যত জবাব দেননি রাজনাথ সিংহ।
গত দু’দিন ধরে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং তার সহযোগীদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। দিল্লি, ইনদওর, ভোপাল-সহ বিভিন্ন জায়গায় দু’দিনের তল্লাশিতে হিসেব বহির্ভুত ২৮১ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের মুখে বিরোধীদের হেনস্থা করতে কেন্দ্রের নির্দেশেই এই অভিযান। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিজেপির অঙ্গুলি হেলনেই এই অভিযান বলেও সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীরা। রাজনাথকে এ দিন এই প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে সাক্ষাৎকারে।
তবে পোড় খাওয়া রাজনীতিক রাজনাথ সে সব অবলীলায় সামলেছেন। বলেছেন, ‘‘যে সংস্থা অভিযান চালাচ্ছে তারা স্বাধীন সংস্থা। এই ধরনের সংস্থাগুলির উপর নির্বাচনী আচরণ বিধিও কার্যকর হয় না। তারা তাঁদের নিজেদের পাওয়া খবরের উপর ভিত্তি করে অভিযান চালাচ্ছে। আমি কী ভাবে তাদের আটকাব?’’ একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘এই অভিযানে সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা ঠিক নয়। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।’’
https://www.anandabazar.com/topic/rajnath-singh
https://www.anandabazar.com/topic/lok-sabha-election-2019
আরও পড়ুন: অবশেষে ‘ক্ষত’ মেরামতের চেষ্টা, ক্ষুব্ধ আডবাণী-জোশীর সঙ্গে দেখা করলেন অমিত শাহ
আরও পডু়ন: ভারতের নির্বাচন নিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতা ফেসবুকে, নজর রাখা হচ্ছে আয়ারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা থেকে