নতুন ‘দেশপ্রেম’ শেখাচ্ছে: সনিয়া

সনিয়া গাঁধীর এ দিনের অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে সরব বিরোধীরা।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩৪
Share:

বক্তা: দিল্লির অনুষ্ঠানে সনিয়া গাঁধী। শনিবার। পিটিআই

দেশপ্রেমের ভাবনা নিয়ে বিজেপি তথা এনডিএ-কে কড়া আক্রমণ করলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী। এ দিন বাম-সহ একাধিক ধর্মনিরপেক্ষ দলের উপস্থিতিতে ‘পিপল্‌স এজেন্ডা— জনসরকার ২০১৯’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বিজেপির বিরুদ্ধে আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক ছিলেন সনিয়া। রীতিমতো কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি মানুষকে দেশপ্রেমের নতুন পাঠ পড়াচ্ছে, এখানে যাঁরা বহুত্ববাদকে মানেন না, তাঁদেরই দেশপ্রেমিক বলা হয়!’’ ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই সরকার বিরোধিতাকে সম্মান জানায় না।

Advertisement

সনিয়া গাঁধীর এ দিনের অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে সরব বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, এই জমানায় যখনই কেউ সরকারের কাজ বা নীতির বিরোধিতা করেছেন, তখনই তাঁকে ‘দেশদ্রোহী’ বা ‘শত্রু’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। নানা ভাবে আক্রমণ এমনকি প্রাণে মারার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ তাঁদের। হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বিরোধিতা করায় সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ, নরেন্দ্র দাভোলকর, গোবিন্দ পানসারে খুনের প্রসঙ্গও বারবার তুলেছেন বিরোধীরা। এ দিন বিভিন্ন দলের উপস্থিতিতে সেই প্রসঙ্গ টেনেই সনিয়ার অভিযোগ, পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের আত্মাকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। যেটা উদ্বেগের। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ভারতের বহুত্ববাদের প্রতি মোটেই শ্রদ্ধাশীল নয়। বিজেপি আমলে যাঁরা তাদের বিশ্বাসের প্রতি আস্থা রাখে না তাদেরই টার্গেট করা হয়।

মায়ের সুরেই এ দিন বিজেপির দেশপ্রেম নিয়ে আক্রমণ করেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও। ফতেপুরে কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে এক সভায় গিয়ে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশপ্রেমকে বিজেপি ভোটের বিষয়বস্তু করে তুলেছে। রাজীব গাঁধী বা ইন্দিরা গাঁধী প্রসঙ্গে বিজেপির মনোভাবের সমালোচনা করে প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, বিজেপি সত্যিই দেশপ্রেমিক হলে শহিদদের সম্মান জানানোর প্রশ্নে তারা দ্বিচারিতা করত না। তাদের উচিত ইন্দিরা-রাজীবের প্রতিও শ্রদ্ধা জানানো। কৃষক এবং গরিবদের প্রতি বিজেপির আচরণের সমালোচনা করে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ওরা দেশপ্রেমিক হলে কৃষকদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ করে বসে থাকত না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement