দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সানি দেওল। ছবি: বিজেপির টুইটার হ্যান্ডল থেকে।
বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেতা সানি দেওল। গত শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন সানি। তখন থেকেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা চলছিল। যার পর মঙ্গলবার দুপুরে দিল্লিতে তাঁকে দলে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং পীযূষ গয়াল।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। ২০০৪-এ রাজস্থানের বিকানের থেকে সাংসদও নির্বাচিত হন তিনি। বাবাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই বিজেপিতে যোগদান করার নিদ্ধান্ত নেন বলে এ দিন দিল্লিতে জানান সানি দেওল। তিনি বলেন, ‘‘আমার বাবা অটলজিকে সমর্থন করতেন। তাঁর সঙ্গে কাজও করেছিলেন। তাই মোদীজির সমর্থনে এগিয়ে এসেছি আমি।আগামী পাঁচ বছরও ওঁকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই। তবে আমার কাজই কথা বলবে।’’
‘বর্ডার,’ ‘গদর: এক প্রেম কথা,’-র মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করে এককালে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন সানি দেওল। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘মহল্লা আশি’ ছবিতে আবার অযোধ্যার রাম মন্দিরের কর সেবকের চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর সেই জাতীয়তাবাদী ভাবমূর্তিটাকেই বিজেপি ব্যবহার করতে চাইছে বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। সানি দলের সদস্যপদ গ্রহণ করার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের বক্তব্যেও তার ইঙ্গিত মেলে। ১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি ‘বর্ডার’ ছবিকে উল্লেখ করে নির্মলা বলেন, ‘‘বর্ডার ছবিতে জাতীয়তাবাদ এবং দেশভক্তিকে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন সানি, যা মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।’’ শুধু অভিনয় করে ওই অনুভূতি আনা যায় না বলে মন্তব্য করেন পীযুষ গয়ালও।
আরও পড়ুন: জবাবে খুশি নয় শীর্ষ আদালত, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ নিয়ে ফের নোটিস রাহুলকে
লোকসভা নির্বাচনে অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং হোশিয়ারপুর-সহ পঞ্জাবের ১৩টি আসনে লড়ছে বিজেপি ও শিরোমণি অকালি দলের জোট। শুরুতে অমৃতসর থেকে সানিকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীকে সেখান থেকে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে যদিও এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি, তবে সানিকে গুরুদাসপুর থেকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
১৯৯৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই গুরুদাসপুর কেন্দ্র থেকে চারবার সাংসদ নির্বাচিত হন প্রয়াত অভিনেতা বিনোদ খন্না। তাঁর স্ত্রী কবিতা খন্না এবং ছেলে অক্ষয় খন্নাকে ওই আসন থেকে দাঁড় করানো হতে পারে বলেও বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছিল।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতিকে ‘ফাঁসানো’র পিছনে নরেশ গয়ালের হাত! প্রমাণ দিতে বলল শীর্ষ আদালত
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সানি ‘ঘায়েল,’ ‘গদর: এক প্রেম কথা,’ ‘দামিনি,’ এবং ‘বর্ডার’-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন। এই নিয়ে তাঁদের পরিবারের তিন সদস্য রাজনীতিতে পা রাখলেন। ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনীও এই মুহূর্তে বিজেপির সাংসদ।
আগামী ১৯ মে, সপ্তম দফায় নির্বাচন পঞ্জাবে। ফলাফল ঘোষণা হবে ২৩ মে।
(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন। কী বললেন প্রধানমন্ত্রী, কী বলছে সংসদ- দেশের রাজধানীর খবর, রাজনীতির খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)