স্মৃতি ইরানি এবং প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী। ফাইল চিত্র।
দেশের প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী যে স্নাতক স্তরের লেখাপড়াও করেননি এবং ২০০৪ সালে জমা দেওয়া হলফনামায় মিথ্যা ও ভুল তথ্য জমা দিয়েছিলেন, সেই খবর সামনে আসার পরই তাঁকে নিয়ে বিদ্রুপ আর কটাক্ষের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মোদী সরকারের অন্যতম মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে বেকায়দায় ফেলতে আসরে নামতে দেরি করেনি কংগ্রেসও। সেই তালে তাল মিলিয়ে রীতিমতো গান বেঁধে ফেললেন কংগ্রেস মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী। স্মৃতিকে কটাক্ষ করে গান গাওয়ার পাশাপাশি তাঁর সরস মন্তব্য, ‘‘খুব তাড়াতাড়ি আসতে চলেছে নতুন টিভি সিরিয়াল-‘কিঁউকি মন্ত্রীভি কভি গ্র্যাজুয়েট থি’।
২০০৪ সালে নয়াদিল্লির চাঁদনি চক কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তখন জানিয়েছিলেন তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। একই সঙ্গে বলেছিলেন, তিনি ১৯৯৬ সালে বিএ ডিগ্রি পেয়েছিলেন। যদিও তিনি আদৌ গ্র্যাজুয়েট কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন সময়। ২০১৪ সালেও তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে আমেরিকার অভিজাত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আছে।
যদিও ডিগ্রি থাকলে নিজের নির্বাচনী হলফনামায় তা কেন জানাননি স্মৃতি, এই প্রশ্ন তুলতে দেরি করেনি কংগ্রেস। যদিও দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা সেই গ্র্যাজুয়েট বিতর্কে যবনিকা টানলেন স্মৃতি নিজেই। তিনি যে স্নাতক নন, সেকথা নিজের হলফনামায় এ বার নিজেই জানালেন স্মৃতি। আর সেই সুযোগটা নিতে দেরি করেনি বিরোধীরা। সেই ব্যঙ্গের প্রতিযোগিতায় অবশ্য সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন কংগ্রেস মুখমাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে গান গাওয়া শুরু করে দিলেন তিনি। আর সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: স্নাতকও নন, হলফনামায় মানলেন স্মৃতি
একতা কপূরের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কিঁউকি সাস ভি কভি বহু থি’ সিরিয়ালে অভিনয় করে প্রথম প্রচারের আলোয় এসেছিলেন স্মৃতি ইরানি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সেই বিষয়টিকেই বেছে নিয়েছিলেন কংগ্রেস মুখমাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী।‘কিঁউকি সাস ভি কভি বহু থি’ ধারাবাহিকের থিম সং নকল করে শুক্রবার প্রিয়ঙ্কার প্যারডি, ‘‘কোয়ালিফিকেশন কে ভি রূপ বদলতে হ্যায়, নয়ে নয়ে সোচ সাঁচে মে ঢলতে হ্যায়, এক ডিগ্রি আতি হ্যায়, এক ডিগ্রি যাতি হ্যায়, বনতে এফিডেভিট নয়ে হ্যায়।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রিয়ঙ্কার এই গান ভাইরাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাঁকে দিয়ে ফেলেন বছরের সেরা গীতিকার শিরোপাও।কেউ কেউ বললেন, প্রথম রাউন্ডের খেলায় অ্যাডভান্টেজ প্রিয়ঙ্কা। এ বার স্মৃতির তরফে পাল্টা দেওয়ার অপেক্ষা।