Coronavirus

আজ মোদীর সঙ্গে বৈঠক, লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি চান মুখ্যমন্ত্রীরা

গত ২ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রথম ভিডিয়ো-বৈঠকে লকডাউন কী ভাবে তোলা যায়, সেই বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০৫
Share:

নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র। পিটিআই।

হয় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হোক। না-হলে যথেষ্ট সময় নিয়ে ধাপে ধাপে তোলা হোক লকডাউন। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে এমন মতামতই দিতে চলেছেন অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

বস্তুত,‌ গত কাল ওড়িশার পরে আজ পঞ্জাব‌ও লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। ওই রাজ্যে লকডাউন চলবে ১ মে পর্যন্ত। পঞ্জাবের মতো আরও দুই কংগ্রেসি রাজ্য, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো পক্ষে।

গত ২ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রথম ভিডিয়ো-বৈঠকে লকডাউন কী ভাবে তোলা যায়, সেই বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কেরলের বাম সরকারের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ, তিন দফায় লকডাউন তোলা হোক। ১৫ এপ্রিল শুধু সেই সব জেলাতেই লকডাউন তোলা হোক, যেখানে ৭ এপ্রিলের পর থেকে একটির বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েনি বা যেখানে কোনও অতিরিক্ত সংক্রমণের হটস্পট নেই। সেই সুপারিশ কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে কেরল।

Advertisement

আজ বৈঠকে

• প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের ভিডিয়ো-বৈঠক আজ বেলা ১১টায়

• অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রী লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো বা ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার পক্ষে

• করোনা-মোকাবিলায় কেন্দ্রের মাত্র ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীরা অসন্তুষ্ট, উঠবে আরও অর্থ সাহায্যের দাবি

• আরও টেস্ট বাড়ানো প্রয়োজন বলে মুখ্যমন্ত্রীদের মত

কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীও মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে এবং বিভিন্ন দলের সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, লকডাউন ধাপে ধাপে তুলতে হবে। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী ফের জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়ে সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন।

তবে বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের মতে, শুধু লকডাউন বাড়ালে হবে না। আরও পরীক্ষা করতে হবে। করোনা রোগীদের চিহ্নিত করে আলাদা করতে হবে। তবেই ভাইরাসকে বাগে আনা যাবে। তা না-করে শুধু লকডাউন বাড়িয়ে গেলে আর্থিক দুর্দশাই বাড়বে।

করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্র গত কাল মাত্র ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করায় অসন্তুষ্ট বিরোধী রাজ্যগুলি। আজ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ বলেন, “মাত্র ১৫ হাজার কোটি টাকা চার বছর ধরে খরচ হলে, ১৩০ কোটি মানুষের দেশে মাথাপিছু খরচ কতটুকু হবে, বুঝতেই পারছেন! আগের বৈঠকে তো আমরা দেড় থেকে দু’লক্ষ কোটি টাকা দাবি করেছিলাম।” সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “কেন্দ্র ২৯টি রাজ্য, ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে। সেখানে কেরল একাই ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।”

টেস্ট কিটের অভাবে যথেষ্ট নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে না বলেও বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রী ভিডিয়ো-বৈঠকে সরব হবেন বলে খবর। তাঁদের যুক্তি, টেস্ট বাড়ালে আরও করোনা-আক্রান্ত চিহ্নিত হবেন। তখন হাসপাতালের বেড, আইসোলেশন ওয়ার্ডের মতো পরিকাঠামোর অভাব দেখা দেবে। ভেন্টিলেটর থেকে শুরু করে চিকিৎসক-নার্সদের সুরক্ষা সামগ্রীরও অভাব রয়েছে। সেই জন্যই আরও অর্থ সাহায্য প্রয়োজন।

তবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ ৪৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের এমপাওয়ার্ড গ্রুপ।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement