ফাইল চিত্র।
ভারতের তৃতীয় কোভিড টিকা হিসেবে ছাড়পত্র পেয়েছে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি। অনুমতি পাওয়ার পরেই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এপ্রিল মাসের শেষেই ভারতে চলে আসবে টিকা। কিন্তু তা সীমিত পরিমাণে। ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে টিকার সংখ্যা। উৎপাদন পুরো মাত্রায় শুরু হলে বছরে ৮৫ কোটি টিকা দেশে উৎপাদন করা হবে বলেই জানানো হয়েছে।
রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টি দেশে ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে স্পুটনিক ভি। তার মধ্যে সবথেকে বেশি জনসংখ্যার দেশ ভারত। সেখানে গ্ল্যান্ড ফার্মা, হেটেরো বায়োফার্মা, প্যানাসিয়া বায়োটেক, স্টেলিস বায়োফার্মা ও ভির্কো বায়োটেক নামের ৫টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। তারা বছরে ৮৫ কোটি ডোজ তৈরি করবে’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এপ্রিলের শেষেই ভারতে স্পুটনিক টিকার প্রথম ডোজ চলে আসবে বলেই মনে করছি। তবে তা সীমিত পরিমাণে। মে মাসের পর থেকে ডোজের পরিমাণ বাড়বে। জুন মাসের মধ্যে ভারতে পুরোদমে এই উৎপাদন শুরু হবে বলেই আশা করা হচ্ছে’।
বর্তমানে ভারতে স্পুটনিক ভি টিকা তৈরি করছে ডক্টর রেড্ডি’জ। তারা জানিয়েছে, মডার্না ও ফাইজারের পরে স্পুটনিক ভি টিকার কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশি, ৯১.৬ শতাংশ। ভারতে জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছিল ডক্টর রেড্ডি’জ। বর্তমানে ভারতে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ভারতে ১৮ থেকে ৯৯ বছর বয়সি প্রায় ১৬০০ জনের মধ্যে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে বলেই জানা গিয়েছে।