নরেন্দ্র মোদী।—পিটিআই।
জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন ও মানুষের স্বার্থে সন্ত্রাসবাদ ও পর্যটনের মধ্যে যে কোনও একটিকে বেছে নিতে হবে। আর তা বেছে নিতে হবে কাশ্মীরের মানুষকেই। রবিবার উধমপুরের এক জনসভায় উপত্যকার মানুষদের উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জম্মু-কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে এ দিন উদ্বোধন হল এশিয়ার সবচেয়ে বড় সুড়ঙ্গ পথের। সেখানে মোদী বলেন, ‘‘কাশ্মীরই ঠিক করুক এখানে সন্ত্রাসবাদ হবে নাকি পর্যটন। গোটা পৃথিবীর কাছে কাশ্মীর আমাদের গর্ব। এই গর্বকে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না কোনওমতেই। এই সুড়ঙ্গ পথ জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনকে আরও সমৃদ্ধ করবে। আর পর্যটন দিয়েই সন্ত্রাসবাদকে মুছে ফেলতে হবে।’’
গত চল্লিশ বছরে কাশ্মীরের পর্যটনকে বিশ্বের দরবারে তেমন ভাবে তুলে ধরা হয়নি বলে এ দিন অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি উপত্যকাকে অশান্ত রাখার জন্য পাকিস্তানকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের ব্যবহার করছে পাকিস্তান। যখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন দেখবেন, তখন তাঁরা বুঝবেন, পাকিস্তান তাঁদের কী ভাবে ব্যবহার করছে।”
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে এশিয়ার দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ-সড়ক খুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
গত বছর হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর টানা পাঁচ মাস ধরে বিক্ষোভ দেখেছে ভূস্বর্গ। সেই সময় কাশ্মীরের জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এ দিন তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে বার্তা দেন মোদী। বলেন, “এই সুড়ঙ্গ পথ আমাদের গর্ব। যখন নোংরা রাজনীতির ফলে পথভ্রষ্ট হয়ে কিছু যুবক পাথর ছুড়ছে তখনই রাজ্যেরই কিছু যুবক দেশের জন্য কাজ করছে। পাথর কেটে সুড়ঙ্গপথ তৈরি করছে৷ কোন কাজটা গর্বের? ’’
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ‘কাশ্মীরিয়ত, গণতন্ত্র ও মানবিকতা’ স্লোগান মনে করিয়ে দিয়ে মোদী জানান, কাশ্মীরকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য। কোনও বাধাই তাঁকে থামাতে পারবে না।