সচিবালয়ে চিতাবাঘ। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া
দিনের বেলা এই চত্বরে দাপিয়ে বেড়ান রাজনীতি-প্রশাসনের ‘বাঘ-সিংহরা’। তাঁদের অনেকের দাপটেই বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়। এই ভবন থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় গোটা রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যকলাপ। আর সেই ভবনেই কিনা হানা দিল চিতাবাঘ। তার জেরে সোমবার ভোরে আতঙ্ক চেপে বসল গাঁধীনগরে গুজরাতের প্রশাসনিক সদর দফতরে।
সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে চিতাবাঘের ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সেই ভিডিয়ো দেখে আঁতকে উঠেছেন অনেক মন্ত্রী-আমলারাও। চিতার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন বন দফতরের কর্মীরা। গোটা এলাকা ঘিরে রেখে চলে খোঁজাখুঁজি। পরে খাঁচাও পাতা হয়। সেই খাঁচাতেই বিকেলের দিকে ধরা পড়ে চিতাবাঘটি। তারপর কর্মী ও নেতা-মন্ত্রীদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেয় বন দফতর।
ভোরের আলো ফুটে গিয়েছে। রবিবার রাতের ডিউটি প্রায় শেষ করেই ফেলেছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। আচমকাই সিসিটিভির পর্দায় চোখ রেখে চমকে উঠেছিলেন তাঁদেরই এক জন। সচিবালয় চত্বরের ভিতরেই যে অবলীলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এক শ্বাপদ। কখনও লনে দুলকি চালে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তো কখনও গ্রিলের ব্যারিকেডের নীচের ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়ছে অন্য দিকে। সঙ্গে সঙ্গে ওই নিরাপত্তা কর্মী বাকিদের ডেকে নেন। তাঁরা সবাই ঘরে ঢুকে পড়ে বন দফতরে খবর পাঠান।
আরও পড়ুন: আমাদের থেকে উন্নয়ন প্রকল্পের দান নিয়ে মূর্তি বানাচ্ছ? ফুঁসছে ব্রিটেন
খবর পেয়ে বন দফতরের পদস্থ কর্তারাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে চিতাবাঘটি গা ঢাকা দিয়েছে। বন দফতরের কর্মীরা গোটা বিধানসভা চত্বরে কার্যত চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছেন বাঘটি ধরতে। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে বনাধিকারিকরা জানান, সম্ভবত খাবারের টানেই লোকালয়ে চলে আসে চিতাবাঘটি।
আরও পড়ুন: পুড়িয়েছে স্বামীই, বধূর শেষ বার্তা ভিডিয়োয়
হাই প্রোফাইল এলাকা এবং শহরের প্রাণকেন্দ্রে চিতাবাঘ ঢুকে পড়ায় ঘুম ছুটে যায় পুলিশ কর্তাদেরও। তাঁরা গিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্তারা জানিয়ে দেন, বন দফতর গোটা বিধানসভা চত্বর নিরাপদ ঘোষণা না করা পর্যন্ত কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বিকেলের দিকে চিতাবাঘটি ধরা পড়ার পর আতঙ্কের অবসান হয়।
দেশ দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।