অজিত পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের এক পক্ষকাল পর, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অলিন্দে গুঞ্জন জোরালো হচ্ছে যে, মহাদ্যুতিতে (বিজেপি, অজিত পওয়ারের এনসিপি, একনাথ শিন্দের শিবসেনা)ভাঙন আসন্ন। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য বিধানসভায় বর্ষাকালীন অধিবেশনের পরেই কি ওলোটপালোট হবে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মহারাষ্ট্রে এখন একটি পাখি উড়লেও তা জাতীয় রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চলতি বছরের শেষে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে যদি বিরোধীদের সাফ করে দেয় উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া আগাড়ি জোট, তা হলে দিল্লিতেও নড়বড়ে দেখাবে এনডিএ সরকারকে। যতটা না সংখ্যার কারণে, তার চেয়েও বেশি দেশ জুড়ে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক হাওয়ায়।
মহারাষ্ট্রে লোকসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ার পর রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এবং আরএসএস দোষারোপ শুরু করেছে তাদের শরিক দলগুলিকে। পরাজয়ের পর ‘রিভিউ’ বৈঠক করতে গিয়ে আরএসএস এবং বিজেপি বারবারই বলছে, অজিত পওয়ারের সঙ্গে হাত মেলানোটা মূর্খামি হয়েছে। দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, জোট গড়ে লড়াই করে বিজেপির কোনও আসনেই বিশেষ লাভ হয়নি। আরএসএস মুখপাত্র ‘অর্গানাইজ়ার’-এও এই নিয়ে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। মহাদ্যুতির বৈঠকেও চলেছে দোষারোপ। এ বার প্রকাশ্যে তার ‘পাল্টা’ জবাব দিতে শুরু করেছেন অজিত পওয়ার-পন্থী এনসিপি-র নেতারা।
এনিসিপি নেতা আমোল মিতকারির কথায়, ‘‘আমাদের কানে আসছে বিজেপি বিধায়করা অজিত পওয়ারকে পরাজয়ের জন্য দায়ী করছেন। কেউ যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অজিতকে নিশানা করেন, তা হলে আমরা অন্য রকম অবস্থান নিতে বাধ্য হব।’’
পুণের আর এক এনসিপি নেতা রূপালি পটেলের কথায়, ‘‘অজিতের জন্য ভোটে এই ফল হয়নি। বরং বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষেররাগের ফলাফলে আমাদেরভুগতে হয়েছে। পিছিয়ে পড়াশ্রেণি এবং ওবিসি গোষ্ঠীর একটা বড় অংশ অজিতের সমর্থক।অথচ বিজেপি বারবার চারশোপারের স্লোগান দিয়েছে, সংবিধান বদল করার আশঙ্কা ঢুকিয়েছে। এমনকি আমাদের জোট শরিক শিন্দের শিবসেনাও বলছে যে, বিজেপি নেতাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতির জন্যই এই ভরাডুবি।’’