ফাইল চিত্র।
জঙ্গি বিরোধী অভিযানে ফের বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। জইশ-ই-মহম্মদের অন্যতম শীর্ষ কম্যান্ডার খালিদের পর এ বার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা গেল লস্কর-ই তইবার অন্যতম শীর্ষ কম্যান্ডার ওয়াসিম শাহ। গত কয়েক বছরে দক্ষিণ কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি হামলায় অভিযুক্ত ছিল শাহ।
শনিবার ভোর রাতে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় অভিযান চালানোর সময়ই মৃত্যু হয় ওয়াসিমের। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা গিয়েছে ওয়াসিমের দেহরক্ষী নিসার আহমেদ নামে আরও এক লস্কর জঙ্গি।
২৩ বছর বয়সী ওয়াসিম ‘আবু ওসামা ভাই’ নামে অধিক পরিচিত। তাকে ডন-অফ হেফ বলা হত। পুলওয়ামার লিট্টের এলাকায় তার খোঁজেই তল্লাশি চালাচ্ছিল বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই লিট্টের এলাকাটি জঙ্গিদের অন্যতম সুরক্ষিত আস্তানা।
বাহিনী সূত্রে খবর, বিভিন্ন জঙ্গি কাজকর্মে যুক্ত শাহ বহু দিন ধরেই পুলিশের নজরে ছিল। তার খোঁজ দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ। শাহ লিট্টেরে লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। তার পরই পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ টিম এবং সিআরপিএফ এর যৌথ বাহিনী এই এলাকাটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে নেয়। বেগতিক দেখে পালাতে যায় শাহ। তখনই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও পড়ুন: কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ২৬ বছরের অমিতাভ
শোপিয়ানের হেফ-শ্রীমলের বাসিন্দা শাহ। বাবা ফলের ব্যবসায়ী। স্কুলে পড়াকালীনই সে লস্কর-ই তইবার সমর্থক ছিল। ২০১৪ সালে কলেজ ড্রপ-আউটের পর জঙ্গিদের দলে সরাসরি নাম লেখায় সে। সাম্প্রতিক অতিতে খালিদের পর শাহ-ই পুলিশের গুলিতে মৃত দ্বিতীয় হাই-প্রোফাইল জঙ্গি কম্যান্ডার। ৯ অক্টোবর কাশ্মীরের লাডুরা এলাকায় মারা যায় খালিদ।
খালিদ ও শাহ ছাড়াও পুলিশরে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায় এখনও অনেকেই রয়েছে। তারা হল আল কায়দার জাকির মুসা, হিজবুল মুজাহিদিন চিফ রিয়াজ নায়কো, হিজবুল মুজাহিদিনের সাদ্দাম পাদের এবং লস্কর-ই তইবার জিনাত-উল ইসলাম। এদের খোঁজ চলছে।