প্রহৃত: হিগিও গুন্টে।
জল নিয়ে বিবাদের জেরে বেঙ্গালুরুতে উত্তর-পূর্বের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করে জুতো চাটালেন বাড়িওয়ালা!
এমন অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ অরুণাচলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
সপ্তাহখানেক আগে ঘটনাটি ঘটে বেঙ্গালুরুর হুলিমাভু এলাকায়। ক্রাইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সেমেস্টারের ছাত্র বছর বাইশের হিগিও গুন্টের অভিযোগ, তাঁর স্নানঘরে জলের কল ৫ মিনিট খোলা ছিল। এই ‘অপরাধেই’ বাড়িওয়ালা হেমন্ত কুমার আচমকা ঘরে ঢুকে পড়েন। বেধড়ক মারধর করেন তাঁকে। নিজের জুতো চাটাতেও বাধ্য করেন। হিগিও-র কথায়, ‘‘আচমকা উনি আমার ঘরে ঢুকে উনি দরজা বন্ধ করে দেন। তার পরেই ব্যাপক মারধর করতে শুরু করেন। তখন মত্ত ছিলেন বাড়িওয়ালা। মারের চোটে আমার গা দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।’’
আরও পড়ুন: সরকার সকলের, যাঁরা ভোট দেননি তাঁদেরও, নম্র হতে আবেদন মোদীর
বেঙ্গালুরুতে উত্তর-পূর্বের কয়েকটি ছাত্র সংগঠন এ নিয়ে সরব হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তবে হিগিওর অভিযোগ, পুলিশ মামলা রুজু করার সময় জাতিগত বিদ্বেষের জেরে হামলার কথা কোনও ভাবেই উল্লেখ করতে দেয়নি। বাড়ির মালিক, আইনজীবী হেমন্ত কুমার আত্মসমর্পণ করেন। পরে তিনি জামিন পান। হেমন্তের বক্তব্য, বাড়ির অন্য ভাড়াটেরা তাঁকে নালিশ জানিয়েছিলেন, হিগিও অতিরিক্ত জল নষ্ট করছেন। সেই কারণেই অন্য বাসিন্দারা ঠিকমতো জল পাচ্ছেন না। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হেমন্ত নিম্বলকর জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
এ নিয়ে রিজিজু টুইটারে জানিয়েছেন— ‘‘আমার দফতর এ নিয়ে পদক্ষেপ করবে। আমরা যখন বিদেশে ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে সরব, তখন উত্তর-পূর্বের মানুষের প্রতি এমন ব্যবহার দুঃখজনক।’’
উত্তর-পূর্বের মানুষ বিশেষত পড়ুয়া-চাকরিজীবীদের হেনস্থার ঘটনা এর আগেও একাধিক বার ঘটে গিয়েছে খোদ রাজধানীতে। ২০১৪ সালে দিল্লিতে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় খুন করা হয় অরুণাচলের ছাত্র নিদো টানিয়াকে। রাজধানীতে উত্তর-পূর্বের মেয়েদের হেনস্থা নিয়েও কম হইচই হয়নি।