ছবি: সংগৃহীত।
আগরা থেকে লখনউ পৌঁছতে সাত নয়, লাগবে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা। তবে যেতে হবে আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। সোমবার এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের শুরুতেই বিপত্তি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জমায়েতে হাজির ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, মুলায়ম সিংহ যাদব-সহ হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। তিনটে করে মিরাজ-২০০০ এবং সুখোই-৩০— ভারতীয় নৌসেনার ছ’টি যুদ্ধবিমানও হাজির ছিল। ঠিক ছিল, এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে অবতরণ করবে ওই যুদ্ধবিমানগুলি। কিন্ত, তাল কাটল এক্সপ্রেসওয়েতে ঘুরে বেড়ানো এক সারমেয়র জন্য। অবতরণে কিছু ক্ষণের জন্য দেরি হল যুদ্ধবিমানের।
ছ’লেনের ওই এক্সপ্রেসওয়ে দৈর্ঘ্য ৩০২ কিলোমিটার। অখিলেশ সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প এটি। ২২ মাস ধরে এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৩২০০ কোটি টাকা। এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুদ্ববিমানের অবতরণের কথা ছিল। অনুষ্ঠানের মহড়ায় সব কিছু ঠিকঠাক চললেও এ দিন অবতরণের সময় সামনে এসে পড়ে একটি সারমেয়। দুলকি চালে তাকে হেঁটে বেড়াতে দেখে প্রথমটা অবতরণ করতে পারেনি সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানটি। তবে বিমানচালকের তৎপরতায় তা ফের এক পাক ঘুরে এসে নামে এক্সপ্রেসওয়েতে।
এর পরে অবশ্য আর কোনও বিপত্তি ঘটেনি। মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান তিনটিই মসৃণ ভাবে এক্সপ্রেসওয়েতে অবতরণ করে।
তবে এ দিনের ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, এত কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী এড়িয়ে কী ভাবে এক্সপ্রেসওয়েতে ঢুকে পড়ে সারমেয়?
আরও পড়ুন