সঞ্জয় রাউত। ফাইল চিত্র।
রবিবার সাতসকালে মুম্বইয়ে উদ্ধব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রাউতের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। পাত্র চাওল জমি দুর্নীতি মামলায় রাউতের বাড়িতে ইডির এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব সরকারের পতনের সময় এই মামলায় রাউতকে তলব করেছিল ইডি। সেই প্রেক্ষিতে গত ১ জুলাই ইডি দফতরে গিয়েছিলেন শিবসেনা নেতা। গত ২০ জুলাই আবারও সঞ্জয়কে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এর পর গত ২৭ জুলাই তাঁকে ফের ডাকা হয়েছিল। সংসদের অধিবেশনে ব্যস্ত থাকার কারণে তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না বলে আইনজীবী মারফত সে সময় জানিয়েছিলেন শিবসেনা নেতা। সেই সঙ্গে আগামী ৭ অগস্টের পর তিনি হাজিরা দিতে পারবেন বলে ইডিকে জানিয়েছিলেন রাউত।
এই মামলায় রাউতের বেশ কিছু সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। গত এপ্রিল মাসে রাউত-পত্নী বর্ষা ও তাঁর দুই সহযোগীর সাড়ে ১১ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সে সময় দাদর এলাকায় বর্ষার ফ্ল্যাট, আলিবাগে রাউতের সহযোগী সুজিত পাটকরের স্ত্রী স্বপ্না ও বর্ষার যৌথ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত বিষয়ের পাশাপাশি রাউতের স্ত্রীর সম্পত্তি নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা। আর্থিক তছরুপের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাউত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন শিবসেনা নেতা।ইডির হানা প্রসঙ্গে টুইটারে রাউত লিখেছেন, ‘মিথ্যা প্রমাণের ভিত্তিতে মিথ্যা অভিযান। আমি শিবসেনা ছাড়ব না... মৃত্যু হলেও আমি আত্মসমর্পণ করব না। জয় মহারাষ্ট্র।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই দুর্নীতির সঙ্গে আমি যুক্ত নই। শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরের শপথ নিয়ে এ কথা বলছি... বালাসাহেব আমাদের লড়তে শিখিয়েছেন। শিবসেনার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।’
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে শিবসেনায় ভাঙন ধরানোর জন্য ইডিকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি, এই অভিযোগ করেছিলেন রাউত। তিনি দাবি করেছিলেন, ইডির চাপেই অনেক শিবসেনা নেতা বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।