দিল্লির এইমস থেকে রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (রিমস) পৌঁছে গেলেন বিহারের প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ। গত কাল রাতে কানপুরে ট্রেনের মধ্যেই অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। চিকিৎসক পরীক্ষা করে ইনজেকশন দেন। তাঁর রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ নয়াদিল্লি রাঁচী রাজধানী এক্সপ্রেসে লালু রাঁচী স্টেশনে এসে পৌঁছোন। সেখান থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় রিমসে। রাঁচী স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন কয়েকশো আরজেডি সমর্থক। তাঁরা লালুর নামে স্লোগান দিতে থাকেন। লালু রিমসে পৌঁছনোর পরেই ফের একপ্রস্ত শারীরিক পরীক্ষা হয় তাঁর। চিকিৎকরা জানিয়েছেন, তাঁর রক্তচাপ কিছুটা বেশি রেয়েছে। বেশ দুর্বলও বোধ করছেন তিনি।
এ দিন ফের লালু বলেন, “দিল্লির এইমসে আমি পুরোপুরি সুস্থ হলাম না। তার আগে ফের আমাকে রাঁচী নিয়ে আসা হল। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এইমস থেকে এখানে আসার পরে আমার শারীরিক অবস্থার যদি অবনতি হয় তা হলে তার জন্য দায়ী হবেন এইমসের চিকিৎকরা।” রাঁচীর হাসপাতালে লালুপ্রসাদের মেডিক্যাল বোর্ডে থাকা এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পায়ের বদলে হাতের অস্ত্রোপচার করা অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়েও ক্ষুব্ধ আরজেডি।
রিমসের এক চিকিৎসক জানান, দিল্লি থেকে আসার পথে লালুকে এক বার ইনসুলিন দিতে হয়েছিল। ট্রেনে তাঁর রক্তাচাপও ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি। রাজধানী এক্সপ্রেসে করে রাঁচী আসার সময় বোকারো ও কোডারমা স্টেশনে লালুর সমর্থকরা লালুর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। আরজেডি নেতা কৈলাস যাদবের অভিযোগ, “যে যে শারীরিক সমস্য নিয়ে লালুকে দিল্লির এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল তার পুরো চিকিৎসাই হল না। তার আগেই লালুকে রিমসে ফিরিয়ে আনা হল।”
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে গত বছর ২৩ ডিসেম্বর থেকে লালু রাঁচীর বিরসা মুণ্ডা জেলে বন্দি ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে মার্চের ১৭ তারিখ তাঁকে রিমসে ভর্তি করা হয়। ওই মাসের ২৮ তারিখ লালুকে যখন সেখান থেকে দিল্লির এইমসে স্থানান্তরিত করা হয়, তখন তাঁর সুগার লেভেল ও ক্রিয়েটিনিন লেভেল ছিল বেশ বেশি। এ ছাড়াও আরও কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল।
রিমস সূত্রে খবর লালুকে রিমসের তিনতলার সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকে রাখা হয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই ওই ব্লকের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাঁচীর ডিএসপি বিকাশ শ্রীবাস্তব জানান, লালুপ্রসাদ যে ওয়ার্ডে থাকবেন তার আশপাশে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে।