বাংলা বইয়ের অভাব জেলা গ্রন্থাগারে

করিমগঞ্জের জেলা গ্রন্থাগারে সব চেয়ে বেশি রয়েছে অসমীয়া বই। সেখানে বাংলা বইয়ের স্থান তৃতীয়। গ্রন্থাগারের সূচনালগ্ন থেকেই বাংলা বইয়ের জোগান কম ছিল। সেই ছবি এখনও বদলায়নি। অভিযোগ, বিভাগীয় কার্যালয় গুয়াহাটি থেকে অসমিয়া বই-ই বেশি পাঠানো হয়।

Advertisement

উত্তম মুহরী

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৬
Share:

করিমগঞ্জ জেলা গ্রন্থাগার। — নিজস্ব চিত্র

করিমগঞ্জের জেলা গ্রন্থাগারে সব চেয়ে বেশি রয়েছে অসমীয়া বই। সেখানে বাংলা বইয়ের স্থান তৃতীয়। গ্রন্থাগারের সূচনালগ্ন থেকেই বাংলা বইয়ের জোগান কম ছিল। সেই ছবি এখনও বদলায়নি। অভিযোগ, বিভাগীয় কার্যালয় গুয়াহাটি থেকে অসমিয়া বই-ই বেশি পাঠানো হয়।

Advertisement

১৯৬৮ সালে করিমগঞ্জে একটি মহকুমা গ্রন্থাগার তৈরি করা হয়েছিল। করিমগঞ্জ পৃথক জেলার মর্যাদা পাওয়ার পর ১৯৮৭ সালে সেটি জেলা গ্রন্থাগারের স্বীকৃতি পায়। প্রথমে গ্রন্থাগারটি ছিল টাউন হলে। সে জন্য ভাড়া পেত পুরসভা। পরে তা স্থানান্তরিত করা হয় রমণীমোহন ইন্সস্টিটিউটে। তারপর সেটেলমেন্ট অফিসে। ২০০৫ সালে গ্রন্থাগারের স্থায়ী ভবন তৈরি করা হয়।

করিমগঞ্জ বাঙালিপ্রধান জেলা। বাংলা মাধ্যম স্কুল বেশি। কিন্তু জেলা গ্রন্থাগারে বাংলা বই কম থাকায় ক্ষোভ রয়েছে সেখানে। বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন, মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতি-সহ কয়েকটি সংগঠন বাংলা বই চেয়ে রাজ্য সরকারকে আর্জি জানিয়েছে। কিন্ত লাভ হয়নি। কয়েক বছর আগে প্রাক্তন সাংসদ ললিতমোহন শুক্লবৈদ্যর তহবিল থেকে পাওয়া ৫০ হাজার টাকায় বইমেলা থেকে বাংলা বই কেনা হয়েছিল।

Advertisement

জেলা গ্রন্থাগারের কর্মী জয়ন্ত শর্মা লস্কর জানান, গ্রন্থাগারের সদস্যসংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। বেশিরভাগই বঙ্গভাষী। টেলিভিশন, ইন্টারনেট, মোবাইলের যুগেও অনেকেই বই ভোলেননি। তিনি আরও জানান, চাকরির বি়জ্ঞাপনের খোঁজে দৈনিক সংবাদপত্রও পড়তে আসেন অনেকে। তবে কত দিন সেখানে সংবাদপত্র মিলবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। জেলা গ্রন্থাগার সূত্রে খবর, দু’বছর ধরে সংবাদপত্র এজেন্সিকে টাকা দেওয়া হয়নি। তাই যে কোনও সময় সংবাদপত্র সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে তারা। রাজ্য সরকার কবে ফের টাকা দেবে, আপাতত তার অপেক্ষায় রয়েছে জেলা গ্রন্থাগার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement