National News

কর্নাটক: তটস্থ কংগ্রেস-জেডি (এস) এখনও হোটেলবন্দিই রেখেছে বিধায়কদের

ভোটের ফলাফল বেরনোর পর বিজেপি-কে রুখতে একে অন্যের ওপর ‘বিশ্বাস’ রেখে কর্নাটকে গাঁটছড়া বেঁধেছে কংগ্রেস আর জেডি (এস)। কিন্তু কেউই যেন কাউকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছে না! এমনকী, নিজের দলের বিধায়কদেরও ভরসা করতে পারছে না কংগ্রেস। জেডি (এস)-ও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৮ ১৮:২৮
Share:

এইচ ডি কুমারস্বামী।- ফাইল চিত্র।

বুধবার যাঁরা হাতে হাত মিলিয়ে কর্নাটকে কুমারস্বামী সরকারের পক্ষে আস্থা জানাবেন, সেই কংগ্রেস আর জেডি (এস) বিধায়কদের এখন মুখ দেখাদেখি বন্ধ! দু’টি দলই তাদের বিধায়কদের একে অন্যের থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে। বিজেপি-র হাতে যাতে বিধায়ক ‘চুরি’ না হয়ে যায়, তার জন্য তাঁদের কর্নাটকের এখানে ওখানে বিলাসবহুল হোটেল, রিসর্টে ‘বন্দি’ করে রাখছে কংগ্রেস, জেডি (এস)। কংগ্রেস যেখানে হোটেল-বন্দি করে রেখেছে দলের বিধায়কদের, তার বেশ কিছুটা দূরে দলীয় বিধায়কদের রিসর্ট-বন্দি করে রেখেছে জেডি (এস)। শুধু তাই নয়, বিধায়কদের হোটেলও বদলানো হচ্ছে।

Advertisement

ভোটের ফলাফল বেরনোর পর বিজেপি-কে রুখতে একে অন্যের ওপর ‘বিশ্বাস’ রেখে কর্নাটকে গাঁটছড়া বেঁধেছে কংগ্রেস আর জেডি (এস)। কিন্তু নিজের দলের বিধায়কদেরই যেন পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছে না কংগ্রেস। জেডি (এস)-ও তাই।

আরও পড়ুন- সমঝোতা পাকা, কর্নাটক মন্ত্রিসভায় কংগ্রেস ২০, জেডি(এস) ১৩​

Advertisement

আরও পড়ুন- চলে আসুন মন্ত্রী করে দেব, ‘ইয়েদুরাপ্পার অডিও’ ফাঁস, দেখুন সেই কথোপকথন​

বুধবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন দেবগৌড়ার দল জেডি (এস)-এর নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী। তার পরেই বিধানসভায় প্রমাণ দিতে হবে তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার। ২২৪ সদস্যের (ভোট হয়েছে ২২২টি আসনে) বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৭৮, জেডি (এস)-এর ৩৮। ১১১ জন বিধায়ক সঙ্গে রয়েছেন দেখাতে পারলেই কাজ শুরু করে দিতে পারবে কুমারস্বামী সরকার। তার আগে বিজেপি যাতে ‘বিধায়ক-চুরি’ করে পাশা উল্টে দিতে না পারে সে জন্যই কংগ্রেস তার ৭৮ জন বিধায়ককে কড়া পাহারায় ‘লুকিয়ে’ রেখেছে বেঙ্গালুরুর একটি পাঁচ তারা হোটেলে। বুধবার তাঁদের সঙ্গেই হাত মিলিয়ে কুমারস্বামীর সরকারকে আস্থা ভোটে জেতাবেন যাঁরা, সেই জেডি (এস) বিধায়কদের এত দিন দেবগৌড়ার দল রেখেছিল বেঙ্গালুরুর একটি বিলাসবহুল হোটেলে। বিজেপি-র ‘হানাদারি’ থেকে ‘বাঁচাতে’ এ দিনই তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরও একটু নিরাপদ দূরত্বে! বেঙ্গালুরু থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে, দেভানাহাল্লির একটি রিসর্টে। আর সেই হোটেল, রিসর্টে এতটাই কড়া পাহারায় দলীয় বিধায়কদের রেখেছে কংগ্রেস এবং জেডি (এস) যে, সেখানে সাধারণ পর্যটকদের খুবই মুশকিলে পড়তে হচ্ছে। তাঁরাও হাঁসফাঁস করছেন ভিআইপি বিধায়কদের জন্য নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনিতে!

দলীর বিধায়কদের প্রতি এই ‘আস্থার অভাব’-এর মধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের রফায় বসতে সোমবার দিল্লিতে পৌঁছেছেন জেডি (এস) নেতা, কর্নাটকের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। কথা বলবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ও তাঁর মা সনিয়ার সঙ্গে। সেখানেই চূড়ান্ত হবে কংগ্রেসের তরফে কে বা কারা হবেন কুমারস্বামীর মন্ত্রিসভার দু’নম্বর ব্যক্তি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক হয়েছে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হবেন ২ জন। যেহেতু বিধায়ক সংখ্যায়, জেডি (এস)-এর চেয়ে (৩৮ জন) অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস (৭৮ জন), তাই কুমারস্বামীর মন্ত্রিসভায় সঙ্গত ভাবেই কংগ্রেসের মন্ত্রী থাকবে বেশি। অন্তত ২০ জন। কিন্তু কারা কারা মন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেই দড়ি টানাটানি চলছে। এমনকী, লড়াই চলছে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদটি নিয়েও। দুই নেতা ডি কে শিবকুমার এবং এম বি পাটিলের মধ্যে। সেই লড়াইয়ে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জি পরমেশ্বরও। তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে ডি কে শিবকুমারের নামেই সম্ভবত অনুমোদনের সিলমোহর লাগাতে চলেছে ১০ নম্বর জনপথ। হোটেলে দলীয় বিধায়কদের সামলে রাখার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে শিবকুমারকেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement