আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নয়, কংগ্রেস অথবা আরজেডির টিকিটেই লড়বেন পটনা সাহিবের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিংহ। গতকাল আরজেডি নেত্রী রাবড়ী দেবীর ইফতার পার্টিতে শত্রুঘ্ন বলেন, ‘‘অবশ্যই লোকসভা নির্বাচনে লড়ছি। কেন্দ্র একই থাকলেও দল বদলে যেতেই পারে।’’ ‘বিহারীবাবুর’ কথায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
তেজস্বী যাদব শত্রুঘ্নের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘‘সিদ্ধান্ত তো ওঁকেই নিতে হবে। তবে এমন কোনও দল আছে নাকি যাঁরা শত্রুঘ্ন সিংহকে প্রার্থী হিসেবে চাইবে না!’’ পাশাপাশি, বিজেপি সভাপতি নিত্যানন্দ রায় বলেন, ‘‘ওঁর সময় হয়েছে। আর সময় এলে দল নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে।’’ আগেও একাধিক বিষয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন শত্রুঘ্ন। কিন্তু বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা তো দূরের কথা, বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজনও মনে করেনি। গত কাল শত্রুঘ্ন বলেন, ‘‘লালুপ্রসাদ আমার বন্ধু। এখানে পারিবারিক বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হল। আমরা সকলে খুশি।’’ তাঁর মতে, ‘‘ইফতার পার্টি তো আমাদের দেশের সংস্কৃতিরই অঙ্গ। এতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।’’ প্রায় ঘন্টা দুয়েক সেখানে ছিলেন তিনি।
শুধু শত্রুঘ্ন নন, বিজেপির বিরুদ্ধে সরব দলের দ্বারভাঙার সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদও। রাহুল গাঁধীর প্রশংসার পাশপাশি মোদী সরকারের সমালোচনায় তিনি মুখর। আজ দ্বারভাঙায় বলেন, ‘‘রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেস দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। আর বিজেপি যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তাতে আমার কাছে কোনও বিকল্প নেই।’’ তিনি জানান, ২০১৯ সালে ‘জাতীয় দল’-এর হয়েই দ্বারভাঙায় নির্বাচন লড়বেন। শত্রুঘ্নর বক্তব্যকে সমর্থন করে কীর্তি বলেন, ‘‘আরজেডি বা কংগ্রেস, যেখানেই তিনি যাবেন আমার সমর্থন সব সময়ে তাঁর সঙ্গেই থাকবে।’’