সভায়: বারাণসীতে কিরণময় নন্দ। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
প্রচারে ঝড় তুলতে গিয়ে উরশিনগরের ধুলো শরীর খারাপ করে দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল কয়েক দিন। বেশি সভা করার ধকল নেওয়া এখন বারণ। তবু হাল ছাড়ছেন না অখিলেশ যাদবের বাঙালি সেনাপতি।
আরও পড়ুন: তাওয়াংয়ে দলাই লামা, হুঁশিয়ারি চিনের
উত্তরপ্রদেশ জুড়ে শ’আড়াই সভা করা হয়ে গিয়েছে কিরণময় নন্দের। ধুলোর ঝড়ে শরীর বেচাল করলেও রাজ্যসভার সাংসদ আশাবাদী, ভোটবাক্সে সমাজবাদী ঝড়ই উঠছে। লখনউয়ের তখতে ফের অখিলেশের ফেরা সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে হচ্ছে তাঁর। কিরণময়বাবু শুক্রবার বলছিলেন, ‘‘সমাজবাদী পার্টিতে ঝগ়়ড়ার কোনও ছাপই পড়েনি লোকের মধ্যে। বরং, অখিলেশকে দলের সভাপতি করা এবং তাঁকে সামনে রেখে ভোটে লড়ায় মানুষ খুশি। সভার পরে সভায় গিয়েই সেটা বুঝতে পারছি।’’ সমাজবাদীর হাত থেকে হিন্দি বলয়ের প্রধানতম রাজ্য ছিনিয়ে নিতে নজর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুন্ডাগিরি, দুর্নীতি, নোটবন্দি ও কৃষক— এই চার অস্ত্রে অখিলেশ-কংগ্রেসের জোটকে বিঁধছেন তিনি। সমাজবাদী পার্টির তরফে কিরণময়বাবুর উপরে দায়িত্ব, মোদীর ওই আক্রমণের মোকাবিলা করা। রাজ্যের পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ ঘুরে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মৎস্যমন্ত্রী পাল্টা দিচ্ছেন মোদীকে। বলছেন, ‘‘গুন্ডাগিরিতে সব চেয়ে এগিয়ে বিজেপি-শাসিত রাজ্যই। মহারাষ্ট্র! দুর্নীতিতেও এক নম্বরে বিজেপি-শাসিত রাজ্য। ব্যপম কেলেঙ্কারির সৌজন্যে মধ্যপ্রদেশ! তার পরে উনি উত্তরপ্রদেশকে কী বলবেন!’’ নোটবন্দি-কাণ্ড কী ভাবে সাধারণ মানুষের দুর্দশা বাড়িয়েছে বলছেন সে কথাও। আর সঙ্গে থাকছে কৃষকদের সমস্যা প্রসঙ্গে মোদীর আক্রমণের জবাব। কিরণময়বাবু আত্মবিশ্বাসী, ‘‘ফল বেরোলেই বিজেপি বুঝতে পারবে!’’