Temple

এই মন্দিরের কথা শুনেই কি ‘হাত’কে নির্বাচনী প্রতীক বেছেছিলেন ইন্দিরা?

গত চার দশক ধরে রাজনৈতিক নেতাদের গন্তব্যস্থল হয়ে উঠেছে কেরলের এই মন্দির।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:০০
Share:

দু’পাশে কংগ্রেসের বর্তমান ও অতীত নির্বাচনী প্রতীক। মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। গ্রাফিক তিয়াসা দাস।

ভোট এলেই রাজনৈতিক নেতাদের ভিড় দেখা যায় দেশের বিভিন্ন মন্দিরে। ভোট বৈতরণী পার হতে পার হতে ঠাকুর দেবতার দ্বারস্থ হওয়া এ দেশে খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কেরলের পালাকারে রয়েছে ইমুর ভগবতী মন্দির। ভোট এলেই কেরলের নেতা মন্ত্রীরা নিজেদের গদি ধরে রাখতে এই দেবীর আশ্রয় নিয়ে থাকেন।

Advertisement

ইমুরের ভগবতী মন্দিরে রয়েছে দেবী পার্বতীর মূর্তি। এখানে দেবী দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেন সকলকে। সেখানকার জনমানসে বিশ্বাস, দেবীর এক হাত অভয় মুদ্রা, অন্যহাত সমস্ত প্রতিকূলতাকে দূর করতে সাহায্য করে।

কেরলের ভগবতী মন্দির। ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে।

Advertisement

গত চার দশক ধরে রাজনৈতিক নেতাদের গন্তব্যস্থল হয়ে উঠেছে কেরলের এই মন্দির। ১৯৭৫-৭৭ এ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। তারপর কংগ্রেসের ‘গরু-বাছুর’ প্রতীক বাতিল হয়ে যায়। সে সময় এই মন্দিরের কথা শুনেই নাকি ‘হাত’কে প্রতীক হিসাবে বেছেছিলেন ইন্দিরা গাঁধী।

মন্দিরের ম্যানেজার পি মোহনসুদর্শন জানিয়েছেন, হাত চিহ্নে ভোটে লড়ে বিপুল জয়লাভ করার পর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে এই মন্দিরে এসেছিলেন ইন্দিরা গাঁধী। ১৯৮২ সালের ১৩ ডিসেম্বর এখানে এসেছিলেন তিনি।

তবে আদর্শগত কারণে ওই মন্দিরে বাম নেতাদের উপস্থিতি বেশ কম। তাই এই মন্দিরে আশীর্বাদ নিতে আসার তালিকায় এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা।

আরও পড়ুন: খাবারের মান নিয়ে রেলকে দুষল কমিটি

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement