—প্রতীকী ছবি।
আর পাঁচটা দিনের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে প্রথাগত খাদ্যতালিকায় থাকা নিরামিষ খাবার পাওয়ার কথা ভেবেছিলেন পড়ুয়ারা। তবে গত বুধবার দেখা গেল, পাতে পড়ছে চিকেন বিরিয়ানি! কেরলের ত্রিশূরের ভরতপুঝা নদীর পারে অবস্থিত কেরল কলামণ্ডলম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৯৪ বছরে এই প্রথম পড়ুয়াদের এমন খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মত তাঁদের।
কলামণ্ডলমের রেজিস্ট্রার রাজেশ কুমার পি জানিয়েছেন, ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আমিষ খাবার একেবারে নিষিদ্ধ ছিল, তা নয়। খাবার সরবরাহকারী অ্যাপের মাধ্যমে আমিষ পদ আনিয়ে খাওয়ার অনুমতি ছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে বিনামূল্যে পড়ুয়াদের যে খাবার দেওয়া হয়, তা নিরামিষ এবং দুগ্ধজাত খাবারেই সীমাবদ্ধ ছিল এত দিন। সম্প্রতি জানতে চাওয়া হয়, নিরামিষ ও আমিষের মধ্যে কোনটা বেশি পছন্দ পড়ুয়াদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৪৫০ জনই বেছে নেন আমিষ খাবার। এর পরে সিদ্ধান্ত হয়, মাসে দু’বার করে আমিষ খাওয়ানো হবে পড়ুয়াদের।
এই সিদ্ধান্তে এক দিকে যেমন বেশির ভাগ পড়ুয়া খুশি, অপর দিকে সংশয় প্রকাশ করে সেটির বিরোধিতা করেছেন শিক্ষকদের একাংশ। কারও যুক্তি, এই সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য-বিরোধী। কারও দাবি, প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বহু পড়ুয়াকে ‘অয়েল মাসাজ’ নিতে হয়। আমিষ খেলে তাঁদের স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়তে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত কারও অসুস্থ হওয়ার খবর মেলেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেস কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ২০ জুলাই একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে, সেখানেই ঠিক হবে, আর কী ধরনের আমিষ পদ রাখা যায় খাদ্যতালিকায়। সংবাদ সংস্থা