কেরলে ত্রাণ পাঠাচ্ছেন কলকাতা বিমানবন্দরের সিআইএসএফ অফিসারেরা। —নিজস্ব চিত্র।
উদ্ধারকাজ থেকে এ বার মন দেওয়া হচ্ছে পুনর্বাসনে। কেরলের রাজস্বমন্ত্রী ই চন্দ্রশেখরন মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ৯৫ শতাংশ উদ্ধারকাজ শেষ। তাঁর কথায়, ‘‘মঙ্গলবার শেষ হতে হতে আটকে থাকা সবার কাছে আমরা পৌঁছতে পারব বলে মনে হচ্ছে।’’
তবে এখন চিন্তা বাড়াচ্ছে রোগের প্রকোপ। যে ভাবে বিভিন্ন জায়গায় পশুর দেহ ভেসে বেড়াচ্ছে, তাতে জলবাহিত রোগের আশঙ্কা বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে আজ আকাশপথে ৬০ টন জরুরি ওষুধ পৌঁছে যাওয়ার কথা।
গত কাল রাজ্য মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পরে কেন্দ্রের কাছে ২৬০০ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজের দাবি জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি আগেই বলেছিলেন, বন্যায় রাজ্যে ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা। আপাতত বেশির ভাগ অংশে রেল ও সড়ক পথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর সাফ করাটাও একটা বিরাট কাজ। যার জন্য বড়সড় অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কেরলের ‘ঋণ’ মেটাচ্ছে আরব
এই সময়ে সপ্তাহভর ওনাম উৎসব চলার কথা। বন্যা পরিস্থিতিতে ২৫ অগস্ট ওনামের সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল বকরিদেও থাকবে না বাহুল্য। স্থানীয় এক সাংবাদিক জানান, মানুষ বন্যার আঘাত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। উৎসবে তাই কারও কোনও উৎসাহ করার মতো অবস্থাই নেই। এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছুটতে হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। ৫৫ বছর বয়সি আম্মিনি বলছেন, ‘‘কিছু আর নেই। কী নিয়ে বাঁচব? ছেলে রোগশয্যায়। শিবির থেকে বেরিয়ে ছেলে, পুত্রবধূ আর নাতিকে নিয়ে কোথায় যাব, জানি না। ওনাম নিয়ে কিছু মাথাতেই নেই।’’