অরবিন্দ কেজরীবাল। (ইনসেটে) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হংসরাজ আহির।
দিল্লির মুখ্যসচিব ‘নিগ্রহ’ কাণ্ডে এ বার জেরা করা হতে পারে অরবিন্দ কেজরীবালকে। তেমনই ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহির।
গত সোমবার রাতে সরকারি বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিষয়ে নিজের বাড়িতে বৈঠক ডেকেছিলেন কেজরীবাল। সেখানে হাজির ছিলেন আপ বিধায়করা। বৈঠকে ডাকা হয়েছিল মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকেও। ওই বৈঠকেই মুখ্যসচিবকে মারার অভিযোগ ওঠে আপ বিধায়কদের বিরুদ্ধে। এমনও অভিযোগ উঠেছে যে, মুখ্যসচিবের উপর যখন আপ বিধায়করা চড়াও হয়েছিলেন, সব দেখেশুনেও চুপ ছিলেন কেজরীবাল এবং তাঁর সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া!
মন্ত্রী বলেন, “ঘটনার সময় যাঁরা হাজির ছিলেন, তিনি যে-ই হোন না কেন, পুলিশ সকলকেই জেরা করবে।” মন্ত্রী জানান, আইএএস অফিসারদের একটি প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে দেখা করে এই ঘটনায় উদ্বেগ এবং তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আমলাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন
অংশু প্রকাশকে ‘নিগ্রহ’র তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে শুক্রবারই দিল্লি পুলিশের একটি দল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায়। ২১টি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে তারা। জেরা করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কর্মীদের।
যদিও মুখ্যসচিবকে মারধরের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে আপ। উল্টে বিধায়কদের সঙ্গে অংশু খারাপ আচরণ করেছিলেন বলে পাল্টা অভিযোগ তোলে দল। সেই সঙ্গে দলের তরফে সাফাই দেওয়া হয়, কোনও বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিষয় নয়, রেশন ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলা হয়, তাঁর কাছে অনেক বিষয় নিয়েই জানতে চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু মুখ্যসচিব জবাব দিতে চাননি। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া বলেন, বিধায়কদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল অংশু প্রকাশকে, কিন্তু মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। যদিও মেডিক্যাল রিপোর্টে জানা যায়, অংশুর কপালে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: টাকার আশা ছাড়ো, সাফ জবাব নীরবের
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমে গ্রেফতার করা প্রকাশ জারবাল নামে আপের এক বিধায়ককে। পরে জামিয়া নগর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন আমানতুল্লা খান নামে আরও এক বিধায়ক। আপ নিগ্রহের ঘটনা অস্বীকার করলেও কেজরীবালের পরামর্শদাতা প্রাক্তন আমলা ভি কে জৈন বৃহস্পতিবার দিল্লির আদালতে সাক্ষ্য দেন। বিভিন্ন সূত্রে খবর, মুখ্যসচিবকে মারধরের ঘটনাটি তিনি নিজের চোখে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।